খাদ্যপণ্যের নিয়ন্ত্রণে আইন

13

নিরাপদ খাদ্য নিয়ন্ত্রণ আইনের অভাবে ক্রেতা সাধারণ অহরহ প্রতারিত হতে হচ্ছে। বাজারের সাধারণ পণ্যের দাম সঠিকভাবে মূল্য নিয়ন্ত্রণ নাই বললে চলে। বাজারের সরবরাহকৃত পণ্যের মূল্যে নির্ধারণ না থাকার খেসারত দিতে হচ্ছে ক্রেতাদেরকে, আর ভেজাল পণ্যে সরবরাহ করে লাভবান হচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ী চক্র।
যদি ও বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ “নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩” অনুযায়ী “নিরাপদ খাদ্য (খাদ্য ব্যবসায়ীর বাধ্যবাধকতা) প্রবিধানমালা ২০২০” প্রণয়ন করা হলে ও ব্যবসায়ীরা কোনো প্রধান্য দিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে যথারীতি কোনো আইনী পদক্ষেপ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে, তা‘ দেখার কেহ নেই বলে মনে হচ্ছে। অথচ নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ করতে খাদ্য ব্যবসায় খাদ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে যেসব কাজ করতে বাধ্য থাকবেন সে বিষয় গুলো বিস্তারিত ভাবে উল্লেখ করা থাকলে ও এই প্রবিধানমালাকে কেহ আমল দিচ্ছে না বলে মনে হয়।
নিরাপদ খাদ্য প্রবিধানমালা সূত্র মতে; খাদ্য ব্যবসায়ীদের তাদের পণ্যে ব্যবহার করা রাসায়নিকের বিষয় বিস্তারিত তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে। খাদ্য উৎপাদনের কাঁচামাল বিষয়ে ও তথ্য-প্রমাণ সংরক্ষণ করতে হবে। খাদ্য ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনতে কর্তৃপক্ষকে জানাতে ব্যবসায়ীদের বাধ্য থাকতে হবে। নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনার জন্য কর্মীদের প্রশিক্ষণ ও দিতে হবে। প্রবিধানের শর্ত পালন করতে ব্যর্থ হলে ব্যবসায়ীদেরকে শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। “২০১৩ সালের নিরাপদ খাদ্য আইনে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ব্যবসায়ীদেরকে বলা হয়েছিল”।
অনেকের মতে; নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করণে প্রবিধান মালা প্রয়োগের অভাবে ব্যবসায়ী মহল তাদের ইচ্ছামত ব্যবসাকে চালিয়ে গেলে ও কোনো ধরনের খবরদারি নেই। মানুষের প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য নিয়ে যতসব কারসাজি, প্রতারনার শেষ নেই।
বিশেষজ্ঞ মহল মনে করেন বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নির্ধারণ ও কৃষিজাত পণ্যের মজুদ সরকারি ভাবে বাড়াতে হবে। প্রতিটি পণ্যে যথাসময়ে উদ্যোগ নিয়ে মজুদদার ও ফড়িয়াদের অপ-তৎপরতা বন্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। বন্ধ করতে হবে অবৈধ পন্থায় আয়ের পথ, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা কঠোর ভাবে প্রয়োগ করতে হবে। যা সকলস্তরের মানুষের প্রত্যাশা।