প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ উন্নয়ন ও অর্জনের বস্তুনিষ্ঠ দলিল – ওবায়দুল কাদের

14

কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণকে গত ১২ বছরের ঈর্ষণীয় উন্নয়ন ও অর্জনের বস্তুনিষ্ঠ দলিল বলে উল্লেখ করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘এই ভাষণ জনগণের প্রাত্যহিক জীবন থেকে উঠে আসা বাস্তব চিত্রের প্রতিফলন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণের ওপর বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের জবাবে শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বিকালে ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে নিয়মিত ব্রিফিং এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ সময়োপযোগী ও দিকনির্দেশনামূলক ছিল মন্তব্য করে কাদের বলেন, ‘গত এক যুগে আর্থ-সামাজিকসহ অন্যান্য খাতে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন, অগ্রগতি ও মানুষের জীবনমানের ক্ষেত্রে যে দৃশ্যমান অগ্রগতি হয়েছে, এতে তার সংক্ষিপ্ত চিত্র ফুটে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের রূপরেখাও প্রস্ফুটিত হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০০৮ সালে মাথাপিছু আয় যেখানে ছিল মাত্র ৬২৫ ডলার, আর এখন মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৪ মার্কিন ডলার। দারিদ্র্যের হার এখন ৪১ দশমিক ৫ থেকে ২০ শতাংশে এবং অতি দারিদ্র্যের হার ২২ শতাংশ থেকে ১১ শতাংশে হ্রাস পেয়েছে।’
বিএনপি আমলে বিদ্যুতের উৎপাদন ছিল মাত্র ৩ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াট জানিয়ে সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত প্রায় ১৯ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। বর্তমানে দৈনিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২৪ হাজার ৪২১ মেগাওয়াট।’
কাদের দাবি করেন, বিএনপি জনগণ দ্বারা বারবার প্রত্যাখ্যাত হয়ে মিথ্যাচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্ত করে সরকারের উন্নয়নের সুফল থেকে বঞ্চিত করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
বিএনপি-জামায়াতের দুঃশাসনে সরকারের সব খাত আকণ্ঠ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত ছিল জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘তারা টানা ৫ বার দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের কালিমা লেপে দেয়েছিল দেশের ললাটে। দেশের মানুষ আর বিএনপির অপশাসনের মৃত্যু উপত্যকায় ফিরে যেতে চায় না।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি করোনা ভ্যাকসিন নিয়েও মিথ্যাচার করছে, তারা এর আগেও অপপ্রচার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা-ই সত্য। আমরা সেটা বাস্তবে প্রমাণ করে দেখাবো।’