স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমায় একটি ক্লু-লেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। হেলাল উদ্দিন মনসুর নামে ওই ব্যক্তি হত্যার ঘটনায় একজনকে গ্রেফতারের পর তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন। পুলিশ জানায়, গাঁজাসেবী ৩ ব্যক্তির তর্কাতর্কির জেরে খুন হন মনসুর।
দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন জানান, গত ৮ জুলাই ভোরে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। তার পেটে ধারালো অস্ত্রের আঘাত ছিল। তাৎক্ষণিকভাবে লাশের পরিচয় না পাওয়ায় অজ্ঞাত হিসেবে সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্ত করা হয়। পরে ফিঙ্গার প্রিন্ট ম্যাচিং করে জানা যায় নিহত ব্যক্তির নাম হেলাল উদ্দিন মনসুর (২৭)। বান্দরবানের বাসিন্দা মনসুর নগরীতে ভাসমান হিসেবে বসবাস করতেন। এরপর দক্ষিণ সুরমা থানার সহকারী পুলিশ কমিশনার মো: ইসমাইলের নেতৃত্বে এ ঘটনায় আল-আমিন (২২) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আল আমিন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের আব্দুল বাতেনের পুত্র। বর্তমানে বরইকান্দি ১নং রোড, সোহাগ মিয়ার কলোনীর ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকেন। ওসি জানান, জিজ্ঞাসাবাদ আল আমিন হেলাল উদ্দিন মনসুরকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। আল আমিনের বরাত দিয়ে ওসি জানান, নিহত হেলাল উদ্দিন উরফে মনসুর, বাছির ও আল আমিন পরস্পর বন্ধু। গত ৭ জুলাই রাতে তারা একসাথে গাঁজা সেবন করে এবং বাছিরের সাথে মোবাইল ফোন নিয়ে ঝগড়া হলে বাছির তার নিকট থাকা ছুরি দিয়ে মনসুরের পেটে ঘাই মারে। মনসুর ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়ে গেলে তারা পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃত আসামী আল-আমিন (২২) কে গত সোমবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট-২য় আদালতে হাজির করা হলে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে বলে জানান তিনি।