কাজিরবাজার ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে উগ্রবাদীদের উদ্দেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে দেবেন না। এখনো দলের কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছি, আবারো বাড়াবাড়ি করলে আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঘরে বসে থাকবে না।’
রবিবার সকালে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় ভিডিও কনফারেন্সে দেয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গায়ে পড়ে আক্রমণ করে না। তবে আক্রমণের শিকার হলে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে একবিন্দুও পিছপা হয় না। তাই বলছি, অনেক হয়েছে। এবার থামুন।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা প্রকারান্তরে সংবিধানের অবমাননা এমনটা জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু মানে এ দেশের অস্তিত্ব, স্বাধীনতা। বঙ্গবন্ধু মানে দেশ ও সংবিধান। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের অবমাননা মানে দেশের মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে আক্রমণ করা।’
বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙ্গার পেছনে দুরভিসন্ধি আছে জানিয়ে কাদের বলেন, ‘এর পেছনে দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত আছে। তাই অনুরোধ করবো, সবাই জেগে উঠুন, এসব ধর্মান্ধ, মৌলবাদী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তিকে প্রতিরোধ করুন।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের স্বার্থের কাছে স্বাধীনতা জিম্মি হতে দেবেন না। মুসলিম, হিন্দু, খ্রিষ্টান সবার মিলিত রক্তের স্রোতধারায় অর্জিত হয়েছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা।’
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের কার্যক্রম সম্পর্কে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের দুই শীর্ষ নেতা দুই মেরুতে অবস্থান করায় তাদের দলের পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তবে তারা এখনো দলের নেতা।’ এ সময় তিনি দলে বহিরাগতদের ঠাঁই না দিতে নেতাকর্মীদের নির্দেশ দেন।
নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিএম তালেব হোসেনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ হুমায়ুন, জেলার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা মোহাম্মদ আলী বর্ধিত সভায় উপস্থিত ছিলেন।