কানাইঘাটে স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে স্বামী গ্রেফতার

11
কানাইঘাটে স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনার কারণে গ্রেফতারকৃত স্বামী হবিব আহমদ ও ডানে নিহতের ছবি।

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাটে স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে স্বামী হবিব আহমদকে গত শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
জানা যায়, কানাইঘাট লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের সাউদগ্রামের মৃত মছদ আলীর পুত্র হাবিব আহমদ বিয়ের পর থেকে প্রায়ই তার স্ত্রী এক সন্তানের জননী মজনুফা আক্তার (২৩) কে যৌতুক সহ নানা কারনে নির্যাতন করত। গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে হবিব আহমদ স্থানীয় ইউপি সদস্য তমিজ উদ্দিনকে মুলাগুল বাজারে গিয়ে বলে তার স্ত্রী মজনুফা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। বোনের মৃত্যুর খবর পেয়ে একই গ্রামের হাজী রইছ উদ্দিনের পুত্র হারুন রশিদ সহ পরিবারের লোকজন মজনুফা আক্তারকে তার স্বামী হবিব আহমদ গলায় ফাঁস লাগিয়ে হত্যা করেছে বলে দাবী করে মুলাগুল বাজারে আটক করে থানা পুলিশকে খবর দেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হবিব আহমদকে আটকের পাশাপাশি নিহতের লাশ হবিব আহমদের বসত ঘরের পাকঘরের বর্গার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে থানা নিয়ে আসেন। ময়না তদন্তের জন্য শনিবার মজনুফার লাশ সিওমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করে পুলিশ। থানার এস.আই স্বপন চন্দ্র সরকার জানিয়েছেন, স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়ার কারণে স্বামী হবিব আহমদকে গ্রেফতার পরবর্তী তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের ভাই হারুন রশিদ এ মামলার বাদী হয়েছেন। মজনুফা আক্তারের আড়াই বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তার পরিবারের দাবী মজনুফাকে স্বামী হবিব আহমদ শ^াসরুদ্ধ করে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে। প্রায় সময়ই সে তাকে নির্যাতন করত। অপরদিকে হবিব আহমদের পরিবারের দাবী মজনুফা আক্তার আত্মহত্যা করেছে। সে যখন আত্মহত্যা করে তখন বসত ঘরের কক্ষের দরজায় ভিতর থেকে বন্ধ ছিল।