কাজিরবাজার ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ কখনো গায়ে পড়ে ঝগড়া না করলেও আক্রমণের শিকার হলে পাল্টা জবাব দিতে সবসময় প্রস্তুত থাকে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার সকালে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি আয়োজিত সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। ওবায়দুল কাদের রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
দেশে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারাদেশে আজ যেই ঈর্ষণীয় উন্নয়ন হয়েছে, তাতে প্রতিপক্ষ কোন ধরনের ধন্যবাদ তো জানাই নি, উল্টো তারা শুধু সমালোচনাই করেই যাচ্ছে, যা জাতি কখনো আশা করেনি।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ উন্নয়ন, সততা দিয়েই দেশের জনগণের মন জয় করে নিয়েছে। এতেই বিএনপির সহ্য হয় না।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানবিক কারণে প্রায় ১১ লাখের অধিক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে, যেখানে প্রায় ৫ লাখ দেশের নাগরিকের বসবাস।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এসব রোহিঙ্গাদের জন্য দেশের অর্থনৈতিক, সামাজিক, পর্যটন ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই সরকার তাদেরকে ভাষানচরে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়া শুরু করছে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কেউ কেউ এ নিয়েও সমালোচনা করায় মন্ত্রী দুঃখ প্রকাশ করেন। ওবায়দুল কাদের প্রশ্ন রেখে বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে প্রশংসা ও লিপ সার্ভিস ছাড়া কোন ধরনের সহযোগিতা কি পেয়েছি?
২০২১ সালের প্রথম মাসেই করোনার ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি বলে অনুষ্ঠানে আশা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তবে এ নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। বলেন, ভ্যাকসিন আসার আগ পর্যন্ত সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে,এবং বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান করতে হবে।
স্থানীয় পর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচন প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, দল করলে দলের সিদ্ধান্ত মানতে হবে। দলের সিদ্ধান্ত অমান্যকরে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয়ী বা পরাজিত হলে পরবর্তীতে তাদের আর কোন সুযোগ দেওয়া হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন ওবায়দুল কাদের।
ধানমন্ডিতে এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা এবং উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান।