স্টাফ রিপোর্টার :
সড়ক প্রশস্তকরণে সরকারি জায়গা রেখে ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গার ওপর দিয়ে রাস্তা তৈরিতে প্রতিপক্ষের তৎপরতার অভিযোগ এনে সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জালালাবাদ থানার ৮নং কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ইনাতাবাদ গ্রামের হেলাল আহমদের স্ত্রী নাজমা আক্তার।
লিখিত বক্তব্যে নাজমা আক্তার বলেন, হারিছ আলী, রোশনা বেগম, খয়রুন বিবি, আজাদ বক্সসহ আনর মিয়া ও তাদের সহযোগীদের বাড়ি এবং আমার বাড়ির মধ্যে একটি সরকারি রাস্তার অবস্থান। এস.এ ১১৯ নং দাগের ওই রাস্তাটির অধিকাংশই হারিছ আলী ও তাদের সহযোগীরা আমার বাড়ির ১২০ নং দাগের সাথে মিশিয়ে দখল করে নিয়েছেন। বর্তমানে গ্রামবাসীর সড়ক প্রশস্তকরণের প্রয়োজন দেখা দিলে আমার বাড়ির ৮৫ নং দাগের সীমানা থেকে জায়গা ছাড়ার চাপ দেয় প্রতিপক্ষ বিবাদী হারিছ আলী গংরা। নাজমা বলেন, বিষয়টি সামাজিকভাবে স্থায়ী সমাধানের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) দক্ষিণ সুরমা, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং ৮নং কান্দিগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান বরাবরে আবেদন করা হয়। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন থেকে চলমান এ বিরোধ নিষ্পত্তিতে সিলেটে স্বত্ব মামলা দায়ের করলে আদালত বিবাদীর বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা ডিক্রি প্রদান করেন।
তিনি বলেন, হারিছ আলী ও আজাদ বক্স গং সরকারি রাস্তার দখল ছেড়ে না দেয়ায় উচ্ছেদ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তাদের অবৈধ স্থাপনা কাঁচাঘর, পাকাঘর ও গরুর গোয়লঘর উচ্ছেদ করে সরকারি রাস্তার জায়গা সরকারিভাবে দখলে নেন। এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল জাহির, জালালাবাদ থানার পুলিশ ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। আসার সময় ম্যাজিষ্ট্রেট ইউপি সদস্য আব্দুল জাহিরকে উক্ত রাস্তাটি মানুষ চলাচলের উপযোগী করে তোলার জন্য বলে আসেন। এ সময় আমার ও বিবাদীর বাড়ীসহ সরকারি রাস্তায় পাকা পিলার মেরে চিহ্নিত করে আসেন তিনি। কিন্তু পরবর্তীতে হারিছ আলী গংরা সরকারি রাস্তার সীমানা পিলার ও আমাদের বাড়ীর সীমানা পিলার উপড়ে ফেলে এবং আমাদের ওপর আক্রমণ করে।
নাজমা আক্তার বলেন, হারিছ আলী আমাদেরকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে তার শ্যালিকা খয়রুন বেগমকে দিয়ে আমি, আমার ভাই মুহিব ও চাচাতো ভাই আব্দুল ওদুদকে আসামি করে মামলা করায়। মামলায় তারা উল্লেখ করে তাদের ছনের ঘরে নাকি আগুন লাগিয়েছি। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তাদের দায়ের করা মামলার অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি মর্মে পুলিশ ও পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে। এ মামলায় আমাদেরকে ফাঁসাতে না পেরে হারিছ আলী ও খয়রুন বেগম আমাদের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করে। এ মামলায় পুলিশ প্রভাবিত হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করে।
নাজমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, হারিছ আলী ও তার সহযোগীরা প্রতিনিয়ত আমাদের প্রাণে মারার হুমকি-ধমকি দিয়ে যাচ্ছে, বহিরাগতদের দিয়ে আমাদের বাড়ী নজরদারিতে রাখছে। বর্তমানে তাদের এহেন আচরণে আমরা জান-মালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে রাস্তা প্রশস্তকরণ করার দাবির পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পদ দখল করে রাস্তা তৈরির পাঁয়তারাকারী হারিছ আলী ও তার সহযোগীদের আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি কার্যকরের ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানান নাজমা আক্তার।