কাজিরবাজার ডেস্ক :
নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর ভূঁইয়া পালিয়ে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে। জড়িত রয়েছেন একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা। তবে পালিয়ে যেতে সরাসরি সহায়তায় একই ফাঁড়ির টু-আইসি এসআই হাসান উদ্দিন। পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটি এমনটি প্রমাণ পেয়েছে।
এছাড়া একাধিক কর্মকর্তার গাফিলতির রয়েছে এ ঘটনায়। তবে এ ঘটনায় কোন ভাবেই দায় এড়াতে পারবেন না সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের শীর্ষ পর্যায়ের অনেকে। মঙ্গলবার আইজিপি ড. বেনজির আহমেদের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন তদন্ত কমিটির প্রধান এআইজি (ক্রাইম অ্যানালাইসিস) মোহাম্মদ আয়ুব। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (গণমাধ্যম) সোহেল রানা।
সূত্র জানায়, এসআই আকবরকে পালাতে সরাসরি সহায়তা করেছেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির টু-আইসি এসআই হাসান উদ্দিন। গত ১২ অক্টোবর বিকাল ৪টার দিকে কোনো এক গোয়েন্দা সংস্থা থেকে এসএমপির সিটি এসবির এক সদস্যের কাছে জানতে চায় আকবরকে কখন গ্রেফতার করে রিজার্ভ অফিসে আনা হবে। এ খবরটি শোনে ওই সদস্য বিষয়টি ফোনে জানায় হাসানকে।
এরপরই এই তথ্যটি এসআই আকবরকে সরবরাহ করেন হাসান। বিকেল ৩টা ৫৬ মিনিটে আকবর অস্ত্র, ওয়্যারলেস সেট ও মোবাইল সিম হাসানের কাছে হস্তান্তর করে ফাঁড়িতে থেকে বেরিয়ে যায়। প্রায় ২ ঘন্টা গোপন রেখে সন্ধ্যা ৬টায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানান হাসান।
জানা যায়, সিলেট বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে রায়হান হত্যার প্রধান সন্দেহভাজন ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবরকে ১২ অক্টোবর বরখাস্ত করা হয়। এরপর থেকেই সে পলাতক। এ ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যকে নিরাপত্তা হেফাজতে নিলেও আকবরকে নেয়া হয়নি। কেন তাকে নেয়া হয়নি, কে তাকে পালানোর সুযোগ দিয়েছে তা চিহ্নিত করতে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে পুলিশ সদর দফতর।
হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (ক্রাইম অ্যানালাইসিস) মোহাম্মদ আয়ুবকে প্রধান করে গঠিত কমিটির সদস্যরা ছিলেন- সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুল আলম, এসএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. মুনাদির ইসলাম চৌধুরী। এছাড়া এসআই হাসান যে বন্দর ফাঁড়ির সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক পাল্টানোর সঙ্গে জড়িত ছিলো তা এসএমপির তদন্ত প্রতিবেদনে বেরিয়ে এসেছে। তবে পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত কমিটি সিলেটে যাওয়ার আগে তার বিরুদ্ধেও কোনো ব্যবস্থা কেন নেয়া হয়নি। এ বিষয়টিকেও তদন্তে গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে বলে পুলিশ সদর দফতরের সূত্রটি জানায়।