বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
বিশ্বনাথে আগামী ২৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপজেলার দশঘর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ‘নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব মোতায়েনের’ দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে ৩ জন প্রার্থী। বুধবার পুলিশের উপ-মহা পরিদর্শক, আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার, সিলেটের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর ওই আবেদন করেন প্রার্থীরা।
নির্বাচনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও র্যাব মোতায়েনের দাবিতে আবেদন করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- জাতীয় পার্টির মনোনীত ‘লাঙ্গল’ প্রতীকের প্রার্থী দশঘর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সাবেক সভাপতি আবদুল মন্নান, বিএনপির মনোনীত ‘ধানের শীষ’ প্রতীকের প্রার্থী দশঘর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমাদ উদ্দিন খান, স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ‘ঘোড়া’ প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেস্টা মন্ডলীর সদস্য সামছু মিয়া লয়লুছ।
পৃথক আবেদনে প্রার্থীরা উল্লেখ করেছেন নির্বাচনে একটি মহল ২৮ অক্টোবর রাতে এবং ২৯ অক্টোবর দিনে ভোট কেন্দ্র দখল করার পাঁয়তারা করছে। তাই শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচনে প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ১ জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ৪ জন করে র্যাব সদস্য মোতায়েন করা একান্ত প্রয়োজন। আর এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আবেদন জানান ওই তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী।
দীর্ঘ প্রায় ১৭ বছর পর দশঘর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে নির্বাচনকে ঘিরে একদিকে যেমন রয়েছে উৎসাহ-উদ্দীপনা, অন্যদিকে তেমনি রয়েছে নানান জল্পনা-কল্পনাসহ অজানা আতঙ্ক।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী অপর দুই প্রার্থী হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত ‘নৌকা’ প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আলহাজ্ব জবেদুর রহমান ও সতন্ত্র (বিএনপির বিদ্রোহী) ‘আনারস’ প্রতীকের প্রার্থী দশঘর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন। এছাড়া নির্বাচনে সংরক্ষিত ৩টি আসনের সদস্য পদে ১১ জন ও ৯টি ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে ৪৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।