স্টাফ রিপোর্টার :
আদালতের রায়ের পরেও পাওনা টাকা না দিয়ে উল্টো দেনাদার কর্তৃক প্রাণনাশের হুমকিতে রয়েছেন দক্ষিণ সুরমা থানার কামাল বাজার ইউনিয়নের কাড়ারপার গ্রামের আব্দুল কাদির। তিনি বালু-পাথর ও ট্রাভেলস ব্যবসার সাথে জড়িত। রবিবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ব্যবসায়ীক সূত্রে জকিগঞ্জের আবুল কালাম আজাদকে ২০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। টাকা না পেয়ে তিনি আদালতে চেক ডিজঅনার মামলা করেন। ওই মামলায় তার পক্ষে রায়ও আসে। তবে এরপর থেকেই টাকা না দিয়ে নানাভাবে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন দেনাদার আজাদ। এ কারণে তারা আতঙ্কে আছেন। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করেছেন তিনি।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আবুল কালাম আজাদ জকিগঞ্জের ব্রাহ্মণ গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নানের ছেলে। তিনি নগরীর কালাম এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী। ব্যবসায়িক লেনদেনের সম্পর্ক থেকে বিভিন্ন সময়ে তিনি টাকা ধার নিয়ে কিংবা লেনদেন করে আবার ফেরত দিতেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে তাকে আমি নগদ বিশ লক্ষ টাকা ধার দেই। কিন্তু এরপরই তার চেহারা পাল্টে যায়।’
তিনি জানান, ‘সর্বশেষ ২০১৭ সালের ২০ ফেব্র“য়ারি ইসলামী ব্যংক জিন্দাবাজার শাখার তার প্রতিষ্ঠান কালাম ওভারসীজ নামীয় একাউন্টের বিশ লক্ষ টাকা সমমানের একটি চেক প্রদান করে। এ চেকটি ব্রাক ব্যংাক সিলেট শাখায় জমা দিলে সমপরিমান টাকা একাউন্টে না থাকায় ডিজঅনার হয়। এরপর তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি। পরে একই বছরের ১ জুন তাকে উকিল নোটিশ পাঠান তিনি। কিন্তু এ নোটিশের জবাব না পাওয়ায় একই বছরের ১২ জুলাই তিনি একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৮ সালের ২২ নভেম্বর মামলার রায় পক্ষে আসলে আজাদ জামিন নিয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করে। তা বিচারাধীন রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, এরপর থেকে সে নানাভাবে সন্ত্রাসী দিয়ে এবং নিজেও তাকে ভয়ভীতি দেখাতে শুরু করে। সর্বশেষ গত ৭ অক্টোবর অজ্ঞাত ৩ জন সন্ত্রাসীকে সাথে নিয়ে দক্ষিণ সুরমার চন্ডিপুলে তার প্রাইভেটকার আটকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ সময় মামলার বিষয়ে আপোষ মিমাংসা হয়েছে এবং পাওনা টাকা আপোষমূলে পেয়েছি মর্মে এরকম একটি কাগজে স্বাক্ষর দিতেও বলে। স্বাক্ষর না দিলে সে প্রাণে মারার হুমকি প্রদান করে।’
তিনি উল্লেখ করেন, আবুল কালাম আজাদ তাকে উদ্দেশ্যে করে বলে- ‘বিশ লক্ষ টাকা তোকে দেবো না, দুই লক্ষ টাকা খরচ করলেই তোকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দিতে পারবে।’ এরপর থেকে তিনি ও তার পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।