তোফাজ্জল হোসেন নবীগঞ্জ থেকে :
নবীগঞ্জ উপজেলায় দর্জি (টেইলারীর) কাজ শিখতে গিয়ে ফুফার যৌন লালসার শিকার হয়েছেন ১৬ বছর বয়সী এক তরুণী। এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। ওই ধর্ষণের ঘটনায় নবীগঞ্জ শহরজুড়ে চলছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এ মামলায় স্বামী আজির উদ্দিন ও স্ত্রী নাজমা বেগমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় উপজেলার করগাও ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গুমগুমিয়া জনৈক তরুণী তার ফুফু নাজমা বেগমের ঘরে দর্জি ( টেইলারী ) কাজ শিখতে যায়। গত বুধবার সন্ধ্যার সময় নাজমার স্বামী আজির উদ্দিন ওই তরুণীকে অন্য একটি ঘরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে সহযোগিতা করে নাজমা বেগম। নাজমা বেগম ওই ধর্ষণের ঘটনা তার মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণ করে। মেয়েকে বাড়ীতে আনতে নাজমার বাড়ীতে যান মামলার বাদী ওই তরুণীর মা। তখন তারা তাকে ঘরে প্রবেশ করতে বাধা দেয় এবং তরুণীকে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে গ্রামের লোকজন নিয়ে গিয়ে মেয়েকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে নাজমা ও তার স্বামী আজিরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় নবীগঞ্জ থানার এস আই কামাল আহমেদসহ একদল পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে স্বামী স্ত্রী দুজনকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ আজিজুর রহমান।