গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ঢাকাদক্ষিন শ্রীচৈতন্য মহাপভুর মন্দিরের নিয়ন্ত্রন নিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে ইসকন। গতকাল শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) বেলা ৩ টায় গোলাপগঞ্জ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন মন্দিরের সদ্য প্রয়াত সেবায়েত রাধা বিনোধ মিশ্রের সহধর্মিণী প্রকৃত মিশ্র চক্রবর্তী। তার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জয় মহাপভুর সেবক সংঘের কেন্দ্রীয় পরিষদের অর্থ সম্পাদক মনোরঞ্জন সাহা। লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, কৃষ্ণ চৈতন্য দেবের বংশের সর্বশেষ পুরুষ রাধাবিনোধ মিশ চতুর্থদশতম উত্তরাধীকারী। তিনি দীর্ঘদিন নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও মন্দিরের সেবায়েতের দায়িত্ব পালন করেন। গত ৫ সেপ্টেম্বর তিনি পরোলোকগমনের পর থেকে ইসকন মহাপভুর মন্দিরে উৎপাত শুরু করেছে। তিনি বলেন, ইসকনের লোকজন পূজা কীর্তনের আড়ালে সকাল বিকাল সন্ধা এমনকি রাতের বিভিন্ন সময়ে এসে উপস্থিত হয়। কোনো সময় ২০/৩০ জন আবারো কোনো দিন ২০০/৩০০ লোক নিয়ে উপস্থিত হয়। বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৬ অক্টোবর তার স্বামী রাধা বিনোধ মিশ্রজীর পরোলোকগমনের ৪০ দিন পূর্তির অনুষ্ঠানের কীর্তন চলছিল। সেই সময় ইসকন হাজার হাজার লোক নিয়ে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে লীলাকীর্তন প্রসাধ খাওয়াসহ বিভিন্ন হৈহুল্লুর শুরু করে। তিনি অভিযোগ করেন, গতকাল শুক্রবার মন্দিরের কোনো অনুমতি না নিয়ে ইসকন অনুষ্ঠানের আয়েজন করে। তারা পুরুষৌত্তম নাম উদযাপন করতে এসেছে বলে অনুষ্ঠানের লিফলেট বিতরণ করে। ইসকনের এধরনের প্রবনতা ভয়ঙ্কর এবং তাদের এধরনের কর্মকান্ডে আমরা শঙ্কিত। ইসকন শুধু যে জোর জবরদস্তি করছে তাই নয়, বেআইনি ভাবে এসে মন্দিরে আশ্রয় নিচ্ছে। শ্রী চৈতন্য মহাপভুর মন্দির ও পিতৃ ভিটা এখন সত্যি দূরবিপাকে আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তাই বিশ্বের সনাতন ধর্মালম্বীদের পবিত্র স্থানের সুনাম গৌরব ঐতিহ্য ও সম্মান রক্ষায় প্রশাসন সহ সর্বমহলের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তারা জানান, ইসকনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর তারা লিখিত অভিযোগ করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় সেবা সংঘের প্রচার সম্পাদক গোপাল চন্দ্র ঘোষ, মাদকপুর সেবা সংঘের সহ-সভাপতি অরুন কুমার নাগ, সিলেট জয় মহাপভুর সেবক সংঘের কােষাদক্ষ কালী সংকর দত্ত, চট্রগ্রাম সেবক সংঘের সাংঘটনিক সম্পাদক গৌতম মিত্র। বিজ্ঞপ্তি