স্টাফ রিপোর্টার :
‘পুলিশী নির্যাতনে’ আখালিয়া এলাকার রায়হান আহমদের হত্যার ঘটনায় খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। খবরটি জানেন সিলেট-১ আসনের এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনও। শুধু খবর জানা পর্যন্তই নয়, এ ঘটনায় প্রকৃত দোষীদের কোনো ছাড় না দিতে নির্দেশ প্রদান করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এসব বিষয় জানিয়েছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল।
সোমবার (১২ অক্টেবর) রাত ৯টার দিকে নিহত রায়হানের আখালিয়া নেহারিপাড়াস্থ বাসায় যান মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতারা রায়হান আহমদের মা সালমান বেগম, চাচা (সৎ বাবা) হাবিবুল্লাহ ও স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নিসহ পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন এবং সমবেদনা জানান।
এ সময় মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন সাংবাদিকদের জানান, আমরা রায়হানের পরিবারের সঙ্গে আছি। দোষীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। ঘটনার সঙ্গে পুলিশের কেউ জড়িত থাকলে এবং দোষী হলে কেউ বাঁচতে পারবে না।
নেতৃবৃন্দ বলেন, আজ (গতকাল) মন্ত্রী সভার কেবিনেট মিটিং ছিলো। সেই মিটিংয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন রায়হান হত্যার বিষয়টি তুলেন এবং বিষয়টি খোদ প্রধানমন্ত্রীর কানেও যায়। এ ঘটনার প্রকৃত দোষীরা যাতে ছাড় না পায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের প্রতি কঠোর নির্দেশনা প্রদান করেন।
রায়হানের বাসায় উপস্থিত থাকা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শফিউল আলম জুয়েল এ সময় বলেন, গতকাল সোমবার গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশ হওয়ার পরই পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্যারের বিষয়টি নজরে আসে। তিনি তৎক্ষণাৎ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইজিপিকে ফোন করে বিষয়টি অবগত করেন এবং প্রকৃত দোষীদের কোনো প্রকার ছাড় না দিতে আহ্বান জানান।
শফিউল আলম জুয়েল আরও বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে স্যার জানতে পেরেছেন- রায়হান মারা যাওয়ার আগে আমেরিকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। এখন যদি রায়হানের অবর্তমানে এ ক্ষেত্রে তার পরিবারের কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন হয় তবে সে ব্যাপারে সহযোগিতা করা হবে। এছাড়াও রায়হানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে যত আইনি সহযোগিতা প্রয়োজন সেটিও দেয়া হবে।