জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
জগন্নাথপুরে তরুণীকে ধর্ষণ ও তার বাবাকে মারধরের ঘটনার প্রধান আসামি শামীম আহমদ এর মামা আবদুল খালিছের (৪৮) বিরুদ্ধে এবার তিন সন্তানের জননী কে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার পুলিশ এ ঘটনার তদন্তে নামেন।
শনিবার রাতে নির্যাতিত গৃহবধূ বাদী হয়ে আব্দুল খালিছের (৪৮) বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
পুলিশ এলাকাবাসী ও ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার গৃহবধূর স্বামী একজন সহজ সরল কর্মক্ষমহীন লোক হওয়ায় বিয়ের পর থেকে স্বামী কে নিয়ে গৃহবধূ বাবার বাড়িতে আশ্রয় নেন। এ সুবাদে গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আবদুল খালিছ গৃহবধূকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হওয়ায় গত ৩ এপ্রিল রাতে গৃহবধূকে একা পেয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন। বিষয়টি লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে না জানালে আবদুল খালিছ আরো বেপরোয়া হয়ে উঠে।
গৃহবধূর ঘর থেকে কৌশলে তাদের ভোটার আইডি কার্ড, বিয়ের কাবিননামা ও জায়গার জমির কাগজপত্র নগদ ১০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়। ব্ল্যাকমেইলিং মাধ্যমে ইচ্ছের বিরুদ্ধে একাধিকবার গৃহবধূ কে ধর্ষণ করে। গত ৯ অক্টোবর রাতে ঘরে ডুকে আবদুল খালিছ তার স্বামী কে গলায় চুরি ধরে সন্তানদের এক ঘরে আটকে রেখে গৃহবধূকে আবারো জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। গৃহবধূর মা স্হানীয় সংরক্ষিত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যা শরিফুল বেগম ৫ সন্তানের জনক আব্দুল খালিছ একজন লম্পট ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তার ভয়ে কেউ কথা বলে না। আমার মেয়েকে ভয়ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে।
জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়ে এসআই ফিরোজ আহমেদকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি ঘটনাটি তদন্ত করছেন। তদন্তের আলোকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।