ছোটারী সেনগ্রামের ৩ কিলোমিটার নির্মিত বোরো বাঁধ পরিদর্শন করলেন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা

3

জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুরে ছোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের উদ্যোগে তাদের ৫শত একর নিজস্ব জমি ভূমি আফনিরবন ও হিংগুড়ির কোনা এলাকায় বোরা ধান চাষাবাদের লক্ষ্যে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বোরা বাঁধ নির্মাণ করেন। সম্প্রতি নুরুল হক নামের এক ব্যক্তি বাঁধের কারণে পানি আটকে তার আমন ফসলের জমি নষ্ট হওয়া যাচ্ছে মর্মে জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা কৃষি কর্মকর্তা সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিনে পরির্দশনের নির্দেশেদেন জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে। জেলা কৃষি অধিদপ্তরের নির্দেশে ১২ অক্টোবর সোমবার সরেজমিন পরিদর্শনে জান জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আব্দুল জব্বার, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সোহেব আহমদ, ছোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠনের সভাপতি আহমদ আলী, সাধারণ সম্পাদক আল-আমিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ, অর্থ সম্পাদক হানিফ আলী সহ কৃষক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা। পরিদর্শনকালে কৃষকরা জানায় দীর্ঘ দিন হতে ছোটারী সেনগ্রামের ৭৩টি পরিবারের সদস্যরা একটি বাঁধের অভাবে বোরো আবাধের জায়গাটি চাষাবাঁধের আওতায় নিয়ে আসতে পারছে না। ফলে জায়গাটি অনাবাদি পড়ে থাকে। স্বাধীনতার পরবর্তী এই প্রথম বার ৭৩টি কৃষক পরিবার নিজ অর্থায়নে প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে প্রায় ৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করে বোরো ধান রোপণের আওতায় নিয়ে আসে। ফাল্লী বিল এর ইজারাদার কর্তৃক পূর্ব পরিকল্পনা পূর্বক কৃষকের কাজে বাধা হয়েছে। তারা আরও বলেন অভিযোগকারীর বোরো বাঁধের ভিতরে মাত্র ৩৩ শতক এবং আরেক ব্যক্তির ৩৬ শতক ভূমি এবং ছোটারী সেনগ্রামের ৬বিঘা জমি রয়েছে যা বোরো ধান চাষ যোগ্য ভূমি। বৃহত্তর জৈন্তাপুরে স্বউদ্যোগে এই প্রথম বার বিশাল জায়গা জুড়ে বোরো ধান চাষাবাধ হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারুক হোসাইন মাঠ পরিদর্শন করে প্রতিবেদককে জানান, নিজ উদ্যোগে ছোটারী সেনগ্রাম কৃষক সংগঠন যে উদ্যোগ নিয়েছে তা উপজেলার কৃষি বিভাগে বোরোধান চাষে একধাপ এগিয়ে নিবে। এলাকাটি আমন ফসলী নয়, প্রকৃত অর্থে বোরো ফসলের এরিয়া। উভয় পক্ষকে ভূমির কাগজপত্র দাখিলের জন্য বলা হয়েছে। কৃষদের কাজে ছায়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে পরিদর্শন কালে তিনি বৃক্ষের চারা রোপণ করেন। বোরো ধানের জন্য জৈন্তাপুর উপজেলা কৃষি অফিস এই সংগঠনকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে জানান। প্রজেক্টটি বাস্তবায়ন করলে বাকী এলাকা গুলো বোরো ধান চাষের আওতায় চলে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।