৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা

16

কাজিরবাজার ডেস্ক :
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ দেয়া ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রী সভা। একই সঙ্গে দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন সংক্রান্ত মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের জারিকৃত পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এ দিন কোনো সরকারি ছুটি থাকবে না।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয় থেকে মন্ত্রীরা বৈঠকে যোগ দেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। মন্ত্রী পরিষদ সচিব বলেন, ‘এ দিনটি (৭ মার্চ) ঐতিহাসিক দিন সবাই জানেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় বলিষ্ঠ নেতৃত্বের নির্দেশনা ও জাতীয় জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া ভাষণে। এ ভাষণের নির্দেশনার আলোকে এ দেশের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটার আন্তর্জাতিক গুরুত্বও আছে। ইউনেস্কো এই ভাষণটিকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে।
তিনি বলেন, সেই বিবেচনায় জাতীয় জাগরণ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রেরণার উৎস হিসেবে দিবসটি উদযাপন করার বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক। মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাব হিসেবে নিয়ে আসা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবটা দিয়েছে।’
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, ‘এ প্রস্তাবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় আছে, যেমন- ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে সঠিকভাবে উপস্থাপন ও তাৎপর্য তুলে ধরা দিবসটি পালনের যৌক্তিকতা। দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে দেশের জনগণের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূর্ণ বিকাশ লালন-পালন ও যথাযথ চর্চা করা সম্ভব হবে। সব শিক্ষার্থী ও মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পরিপূর্ণ সংস্থাপন করার প্রয়াস বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে।
এ দিন কোনো ছুটি থাকবে না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা এ দিবসটি তাদের নিজস্ব কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন ও বাস্তবায়ন করবে।