চেলসিকে হারিয়ে লিগ কাপের কোয়ার্টারে টটেনহ্যাম

6

স্পোর্টস ডেস্ক :
টাইব্রেকারে চেলসিকে হারিয়ে লিগ কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে টটেনহ্যাম হটস্পার। নির্ধারিত সময়ে চেলসির তিমো ভের্নার এবং টটেনহ্যামের এরিক লামেলার গোলে ম্যাচে সমতা থাকায় ম্যাচটি টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানে টটনহ্যামের পাঁচটি শটই জালে আশ্রয় নেয়, তবে চেলসির পাঁচ নম্বর শটটি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ম্যাসন মাউন্ট। আর তাতেই কার্যত কোনো স্ট্রাইকার ছাড়া খেলতে নামা মরিনহোর দল তার সাবেক ক্লাব চেলসিকে আসর থেকে বিদায় করে দেয়।
ম্যাচের আগেই মরিনহো বলেছিলেন তার দল ফেবারিট হিসেবে এই ম্যাচ শুরু করবে না। আদতে হয়েছেও তাই। টটেনহ্যাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই চেলসি নিয়ন্ত্রণ করছিল খেলার গতিপথ। আর এই প্রভাবের সুবাদেই ম্যাচের ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। টটেনহ্যামের নতুন মুখ লেফটব্যাক সার্জিও রেগিলনের ভুলে বক্সের সামনে বল পেয়ে যান ভের্নার। সেখান থেকে ডান পায়ের নিখুঁত শটে চেলসির হয়ে নিজের প্রথমটি গোলটি পেয়ে যান এই মৌসুমেই লাইপজিগ থেকে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে আসা এই জার্মান স্ট্রাইকার।
প্রথমার্ধে লামেলার একটি শট ছাড়া তেমন কোনো আক্রমণ করতে পারেনি স্বাগতিকরা। পা বিস্তৃত করে দারুণভাবে লামেলার শটটি ঠেকিয়ে দিয়ে অভিষেকেই চেলসির গোলে আস্থার প্রতীক হয়ে ওঠেন রেন থেকে ২২ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে দলে আসা এদুয়ার্দ মেন্ডি। দ্বিতীয়ার্ধেও রেগিলনের একটি নিশ্চিত গোলের প্রচেষ্টাকে রুখে দেন তিনি। দলে এসেই অফ ফর্মে থাকা কেপাকে বেঞ্চে ঠেলে দিয়েছেন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে খেলার নিয়ন্ত্রণ বুঝে নেয় টটেনহ্যাম। চেলসির খেলার গতি অনেকটা কমে আসে। আর তাতে এই অর্ধে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে টটেনহ্যাম। শেষের দিকে মরিনহো হ্যারি কেইন এবং লুকাস মউরাকেও মাঠে নামিয়ে দেন। আর টটেনহ্যাম পুরো অর্ধ জুড়েই চেলসির ওপর চাপ বজায় রাখার সুফল পায় ৮৩ মিনিটে। ডানপ্রান্ত থেকে রেগিলনের অসাধারণ ক্রস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ব্যাক পোস্টে থাকা লামেলা দুর্দান্তভাবে বল জালে জড়ান। আর এই গোলের পর দুই দলই ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে যেতে খেলেছে। তাই নির্ধারিত সময়ে আর কোনো গোলের সুযোগ করতে পারেনি দুই দল।
লিগ কাপের নিয়ম অনুযায়ী নির্ধারিত ৯০ মিনিটের পর অতিরিক্ত ৩০ মিনিট খেলা হয় না, বরং ম্যাচ সরাসরি টাইব্রেকারে চলে যায়। দুই মৌসুম আগে লিগ কাপের সেমিফাইনালে এই চেলসির কাছে টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিয়েছিল মাউরিসিও পচেত্তিনোর টটেনহ্যাম। তবে এবার আর তার পুনরাবৃত্তি হল না। টাইব্রেকারে দুই দল মিলিয়ে নয়টি পারফেক্ট শটের পর দশ নম্বর শটটি নিতে আসেন চেলসির মাউন্ট। তার ডান পায়ের শটটি লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি।