বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
আশি^নে বন্যা। কিছুটা অবিশ^াস ঠেকে হাওরবাসীর। এর আগে এ রকম বন্যার মুখোমুখি পড়তে হয় নি হাওরবাসীকে। এ নিয়ে চলতি বছর ৫ বার বন্যা দেখা দিয়েছে হাওরাঞ্চলে। আবার যে হবে না তার নিশ্চয়তা মেলা কঠিন। টানা দু’তিন দিন বৃস্টি হলেই পাহাড়ি ঢল, আর পাহাড়ি ঢল মানেই নিশ্চিত বন্যা।
গত মঙ্গলবার থেকে সারা দেশে মেঘ বলয় সক্রিয় থাকায় দেশের সর্বত্রই বৃষ্টিপাত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় তাহিরপুরেও প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে সীমান্ত নদী যাদুকাটা ও আশপাশের নালা দিয়ে প্রচুর পাহাড়ি ঢলের পানি নামে। এতে একদিকে যেমন হাওরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয় অন্য দিকে পাহাড়ি ঢলের পানিতে তলিয়ে যায় সীমান্ত অঞ্চলের আমন ফসল ও রবি শস্য।
সেই সাথে ঢলের পানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে বন্ধ হয়ে পড়ে তাহিরপুর উপজেলা সদর সহ আশ পাশের ইউনিয়ন ও জেলা সদরের সাথে সড়ক যোগাযোগ।
শুক্রবার টাঙ্গুয়ার হাওর ঘুরতে আসেন ভ্রমণ গ্র“প এডভ্যাঞ্চার ম্যাডনেস, কথা হয় গ্র“পের এডমিন ইমতিয়াজ ফরহাদ এর সাথে, তিনি জানান তাহিরপুর সুনামগঞ্জ সড়কে ৩ স্থানে, পানি থাকার কারণে তিনি অনেক কষ্ট করে তাহিরপুর পৌঁছেন।
উজান তাহিরপুর (পূর্বের বাড়ির) গ্রামের প্রবীণ নুরুল ইসলাম, তিনি বলেন, জীবনে প্রথম বন্যা দেখলাম আশি^ন মাসে। এর আগে কখনো আশি^ন মাসে এত পানি হতে দেখিনি।
উপজেলার সদর ইউনিয়ন জামালগড় গ্রামের সবজি চাষী সবুজ মিয়া। তিনি বলেন, দু’চার দিন একটু বেশী বৃষ্টি হলেই বন্যা দেখা দেয়। কি করবো এ নিয়ে ৩ বার সবজি বীজ তলা তৈরী করেছি আর তিন বারই ঢলের পনিতে বীজতলা নষ্ট হয়েছে।
বালিজুরী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক হারুনর রশিদ। তিনি বলেন, এ নিয়ে বন্যার পানি ৫ বার আমার বিদ্যালয় আঙ্গিনা ও বিভিন্ন কক্ষে প্রবেশ করেছে। বিগত বছর গুলোতে এতবার বন্যার মুখোমুখি হতে হয় নি।
বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন,তিনি বলেন, চলমান ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানিতে আমনের বেশী ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে হাজারো কৃষকের সবজি ক্ষেত বিনষ্ট হয়েছে বলেও তিনি জানান।
তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান করুনা সিন্ধু চৌধুরী বাবুল বলেন, অসময়ের বন্যায় তাহিরপুরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য কৃষক জানিয়েছেন ঢলের পানিতে তাদের আমন জমির রোপণকৃত ধান তলিয়ে গেছে এবং সজি ক্ষেতে পানি জমে সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে পড়ছে।
