কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার পেছনের কারণ উদঘাটনের পাশাপাশি হামলায় মদদদাতাদেরও খুঁজে বের করে শাস্তি নিশ্চিতের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, অপরাধীরা কেউ ছাড় পাবে না। অপরাধী আমার চোখে অপরাধীই। সে কোন দলের কে বা কি সেটা আমি কিন্তু বিচার করি না। অপরাধী যদি আমার দলেরও হয়, সমর্থক হয় তাকেও আমি ছাড়ি না, ছাড়ব না- এটাই হলো আমার নীতি। অপরাধীরা ঠিকই শাস্তি পাবে। মাঠ প্রশাসনের যারা এত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে তাদের এইভাবে আঘাত করে এটা তো কখনও গ্রহণযোগ্য না।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত ত্রিশ মিনিটের প্রশ্নোত্তর পর্বে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য হারুনুর রশীদের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে আরও বলেন, ইতোমধ্যে ইউএনওর ওপর হামলার ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের কিন্তু গ্রেফতার করা হয়েছে, গ্রেফতার করা হচ্ছে এবং বিষয়টা কি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শুধু চুরি না এর সঙ্গে আরও কী কী ঘটনা থাকতে পারে সেগুলোও কিন্তু যথাযথভাবে দেখা হচ্ছে। এমপিদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, এসব ব্যাপারে এমপিরা যেন অপরাধীদের রক্ষার চেষ্টা না করেন। কারণ অপরাধ যে করে আর যারা প্রশ্রয় দেয়- তারা সমান অপরাধী। হামলার পর সরকার থেকে ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হেলিকপ্টার করে ঢাকায় এনে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আগেই বলেছি অপরাধী আমার চোখে অপরাধী। সে কোন দলের কে, কি আমি কিন্তু সেটা বিচার করি না, সেটা আপনারা দেখেছেন। অপরাধী যেই হোক, আমার দলের লোক হলেও ছাড়ি না, ছাড়ব না। সেই নীতি নিয়েই আমি চলছি। ইতোমধ্যে যারা ধরা পড়েছে, তদন্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি আরও তদন্ত করা হচ্ছে যে এই ঘটনার মূলে কি আছে। কেন এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটল?’
করোনাভাইরাসসহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের কাজের প্রশংসা করে সংসদ নেতা আরও বলেন, যারা এত আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছে তাদের এভাবে আঘাত করে এটা তো কখনও গ্রহণযোগ্য না। ইতোমধ্যে অপরাধী শনাক্ত বা তাদের ধরা হয়েছে এবং এর পেছনে তাদের সঙ্গে আরও কারা কারা আছে, কাদের মদদে করেছে, সেটাও কিন্তু তদন্ত করা হচ্ছে। এটা খুব ভালভাবেই তদন্ত হচ্ছে। তদন্তে কোন ঘাটতি নেই এবং ঘাটতি হবে না। অপরাধী ঠিকই শাস্তি পাবে। সেই ব্যবস্থা করব, অন্তত এইটুকু আমি বলতে পারি।’
অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই চলতে হয় : সম্পুরক প্রশ্ন করতে গিয়ে বিএনপির হারুনুর রশীদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশে করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্তর চাইলেই শুধু আমাদের (বিএনপি) পেছনের অতীত নিয়ে কথা বলেন। ১৪ বছর ধরে তো বিএনপি ক্ষমতায় নেই। আওয়ামী লীগই ক্ষমতায়। এখন বর্তমান নিয়ে, ভবিষ্যত নিয়ে আমরা কথা বললে আমার মনে হয় বেশি ভাল হবে।’
এমন সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘উনি (এমপি হারুন) বলছেন, অতীত টেনে কথা বলে কেন? কারণ অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই আগামী দিনের চলার পথ নির্দিষ্ট করতে হবে, নইলে তো শিক্ষা হয় না। যে কারণেই অতীতকে স্মরণ করতে হয়। ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ের কথা আমি বলেছি। সেই ঘূর্ণিঝড়ের তিক্ত অভিজ্ঞতা আমরা তো দেখেছি। কত অবহেলার শিকার ছিল এদেশের মানুষ। ঠিক ১৯৭০ সালে ঘূর্ণিঝড়ের পর যে রকম মানুষ অবহেলিত ছিল, বিএনপির আমলেই তাই হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে সংসদ নেতা আরও বলেন, ওই সময় (৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়) আমরা বিরোধী দলে ছিলাম। বিরোধী দলে থেকে আমরাই আগে সেই দুর্গত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলাম। তারপরে সরকার গিয়েছিল। সরকার (বিএনপি) তো ঘুমাচ্ছিল। আর এই পার্লামেন্টে বলেছিল যত মানুষ মরার কথা ছিল তত মানুষ মরে নাই। এটা বিএনপি আর খালেদা জিয়ার বক্তব্য ছিল। এটাই হলো দুর্ভাগ্য। আমি ওটাই বলব অতীতকে স্মরণ করতে হবে তো। সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হবে।
বিএনপির অপর সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ প্রশ্ন করতে গিয়ে বলেন, সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনী হত্যার শুনেছিলাম বেডরুম পাহারা দেয়ার দায়িত্ব আমাদের নয়। বেডরুম নয়, নিজের দেশ আর দেশবাসীকে পাহারা দেয়ার দায়িত্বটা কার?
এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কথাটা তো বাস্তব। এভাবে ঘরে ঘরে, বেডরুমে বেডরুমে কেউ পাহারা দিতে পারে না। তারপরও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের জন্য এবং দেশে যাতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সব সময় সজাগ রয়েছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি বলেন, ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ক্ষেত্রে যেটা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বাড়ির ভেতরে ঢুকে এভাবে আক্রমণ করা বা হাতুড়ি দিয়ে পিটানো। চোর ঢুকে চুরি করতে পারে, কিন্তু এভাবে একজন সরকারী কর্মচারীর ওপর হামলা করা এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ এতে কোন সন্দেহ নেই। এর বিরুদ্ধে আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি।
পঁচাত্তরের খুনীদের কীভাবে পুরস্কৃত করা হয়েছিল? বিএনপি এমপির সম্পুরক প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও পরবর্তীতে সরকার কর্তৃক খুনীদের রক্ষার চেষ্টার কথা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে অতীতে কী ঘটনাটা না ঘটেছে? পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তো ঘরে ঢুকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তখন তিনি রাষ্ট্রপতি ছিলেন- তাঁর গোটা পরিবারকেই হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই খুনীদের ইনডেমনিটি দিয়ে বিচারের হাত থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। সেই খুনীদের যখন প্রশ্রয় দেয়া হয়, মানসিকভাবে সেই দেশের মানুষের কী রকম চরিত্র হতে পারে? সেটাই বিবেচ্য বিষয়। সেখান থেকে একটা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসা, ডিসিপ্লিনে নিয়ে আসা এবং অন্যায়কারীদের যেন শাস্তি হয়, বিচার হয় সেই ব্যবস্থা- এটাই সব থেকে বড় কাজ। ঘটনা যে কোন সময় ঘটতে পারে। কিন্তু সেই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সরকারের পক্ষ থেকে যারা অপরাধী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি কী না, সেটাই হচ্ছে বড় প্রশ্ন।
সংসদ নেতা বলেন, যে দেশে খুনীদের পুরস্কৃত করা হয় দূতাবাসে চাকরি দিয়ে, যে দেশে অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হয়েছে। দেশটার এমন অবস্থা ছিল। সেই দেশটাকে ডিসিপ্লিনে ফিরিয়ে আনা, সেই দেশকে নিয়ন্ত্রণে এনে নিয়মমাফিক চালানো খুব কঠিন একটা দায়িত্ব। সেই দায়িত্বটা তো আমরা সরকারের আসার পর পালন করে যাচ্ছি। যেখানে ৫শ’ জায়গায় একসঙ্গে বোমা হামলা হয়েছে, প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী-অস্ত্রধারী জঙ্গীরা অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছে। এই ধরনের বহু ঘটনা তো আমাদের দেশে ছিল। কিন্তু সেইগুলো আমরা আস্তে আস্তে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসে মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছি। তারপর এত জনসংখ্যা, এত ঘনবসতি একটি দেশে খুব কঠিন একটা কাজ। তারপরও কিন্তু আমরা করে যাচ্ছি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থা যথেষ্ট সক্রিয় আছে। যখনই যে ঘটনা ঘটছে আমরা সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেই।
সকালে উঠে জায়নামাজ খুঁজি, নিজে চা বানিয়ে খাই : জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রশ্নকর্তা বলেছেন সকালে উঠে কী খুঁজি? সকালে উঠে আমি প্রথমে জায়নামাজ খুঁজি। সকালে উঠেই আগে নামাজ পড়ি। নামাজ পড়ার পরে কোরআন তেলওয়াত করি। তারপরে এক কাপ চা নিজে বানিয়ে খাই। চা বানাই, কফি বানাই বা যা বানাই, নিজে বানিয়েই খাই। আমার ছোট বোন (শেখ রেহানা) থাকলে সে আর আমি, যে আগে ওঠে সে বানায়।’
এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমার মেয়ে পুতুল আছে (সায়মা ওয়াজেদ হোসেন), সে ঘুম থেকে আগে উঠলে সেই বানায়। আমরা নিজেরাই করে খাই। তার আগে বিছানা থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে নিজের বিছানাটাও গুছিয়ে রাখি নিজের হাতে। এরপর বইসহ যা পড়ার পড়ি। তবে আর একটা কাজ করি এখন, গণভবনে একটা লেক আছে সেখানে হাঁটতে যাই, হেঁটে যখন লেকের পাশে বসি তখন ছিপ নিয়ে বসে মাছও ধরি।’
পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ও আদর্শ নিয়ে নিজেদের পথ চলার কথা তুলে ধরে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষা ও নির্দেশ ছিল- রিক্সাওয়ালাকে ‘আপনি’ করে কথা বলতে হবে। ড্রাইভারকে ‘ড্রাইভার সাহেব’ বলতে হবে। আর কাজের লোকজন তাদের কখনও হুকুম দেয়া যাবে না। তাদের সঙ্গে সম্মান করে, ভদ্রভাবে চাইতে হবে। বাবা শুধু বলেছেন তা নয়, শিক্ষাও দিয়ে গেছেন। সেই দিক থেকে আমি মনে করি, আমাদের সকলেরই গরিব দেখলে, ভাল পোশাক না পরলে তাকে অবহেলা করতে হবে- আমার কাছে সেটা না। আমাদের কাছে সকলে সমান সমাদর পায়। বরং যাদের কিছু নেই তাদের দিকে আমরা একটু বেশি নজর দেই, দৃষ্টি দেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে চলি, আমরা ছোটবেলা থেকে সেভাবেই শিক্ষা নিয়েছি। আমি প্রধানমন্ত্রী হতে পারি, এখনও বাড়ির যে ছোট কাজের মেয়ে আছে বা যারাই আছে, কারও কিছু যদি কখনও এক গ্লাস পানিও চাইতে হয়, যতদূর পারি নিজেরা করে খাই। তবুও যদি চাইতে হয়, তাদের জিজ্ঞেস করি আমাকে এটা একটু দিতে পারবে? এই শিক্ষা নিয়ে আমরা এসেছে, এটা এখনও আমরা মেনে চলি। এটা আমার বাবারই (বঙ্গবন্ধু) শিক্ষা।
দেশের একটা মানুষও গৃহহীন থাকবে না : সরকারী দলের সাবেক চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদের সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না, এটা আমাদের সরকারের সিদ্ধান্ত। এ দেশের একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না।
এ সময় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে করে তিনি বলেন, নিজ নিজ এলাকায় খুঁজে দেখুন কেউ গৃহহীন রয়েছে কি না। থাকলে আমরা গৃহ নির্মাণ করে দেব। এ ব্যাপারে সারাদেশেই একটা তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তালিকা থেকে কেউ বাদ করলে বলুন, আমরা যাচাই-বাছাই করে পুনরায় ব্যবস্থা নেব। তবে আবারও বলছি, দেশের কোন মানুষ গৃহহারা থাকবে না।
সরকারী দলের অপর সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি। ’৭৫-এর পর জিয়া-এরশাদ-খালেদা জিয়ারা দীর্ঘ একুশ বছর ক্ষমতায় থাকলেও আমাদের দেশের যে একটি নিজস্ব সমুদ্রসীমা রয়েছে, তা আন্তর্জাতিকভাবে তুলেই ধরেননি। এখন আমরা যে বিশাল সমুদ্রসীমা অর্জন করেছি, তা ব্যবহার করে সুনীল অর্থনীতিকে কীভাবে কাজে লাগানো যায়, অন্যদেশগুলোর কাছ থেকে গবেষণা ও কারিগরি সহায়তা চেয়েছি।
করোনাভাইরাস থেকে মুক্তি পেতে দেশবাসীকে আল্লাহর দরবারে দোয়া কামনার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনাভাইরাসের সময়ে আমাদের প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী প্রত্যেকে, আমাদের প্রশাসন, সেনাবাহিনী, নৌ-বাহিনী, বিমান বাহিনী, বিজিবি, আনসার, ভিডিপি, র্যাব, পুলিশ বাহিনী এবং আমাদের দলের নেতাকর্মী ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, কৃষক লীগ সবাই আন্তরিকতার সঙ্গে মাঠে গিয়ে কাজ করেছে। এই কাজ করতে গিয়ে আমাদের বহু নেতাকর্মী এই করোনা আক্রান্ত হয়েছে, অনেকে মারাও গেছেন।
তিনি বলেন, সবাই রাত-দিন পরিশ্রম করে মানুষের ঘরে খাবার পৌঁছে দিয়েছে। আমাদের একটার পর একটা ধাক্কা আসল। করোনাভাইরাসের এই ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই সেই ঘূর্ণিঝড় আমফান। ঘূর্ণিঝড় আমফানে ২৪ লাখ মানুষকে আমরা সেফজোনে সরিয়ে তাদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। আমফানের ধাক্কা না কাটতে কাটতেই এলো বন্যা। সেই বন্যা মোকাবেলা করা এবং এই প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের ত্রাণ দেয়া, সাহায্য পৌঁছে দেয়া- এটা কিন্তু সকলে মিলে সম্মিলিতভাবে করেছে। আর তা করার ফলেই আমরা সবকিছু মোকাবেলা করতে পেরেছি।
