সিলেটে সংবাদ সম্মেলনে দাবি ॥ লাখো শ্রমজীবী ব্যবাসয়ীর অস্তিত্ব রক্ষায় পাথর কোয়ারি সচল করা হোক

30
নগরীর একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট জীবিকা নির্বাহকারী ব্যবসায়ী শ্রমিক ঐক্য পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন।

স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেটের লাখো মানুষের জীবিকার স্থল পাথর কোয়ারিসমূহ খোলে দিয়ে পাথর ব্যবসায়ী শ্রমিকদের জীবন রক্ষার দাবিতে মঙ্গলবার সিলেট নগরীর একটি হোটেলে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহত্তর সিলেট পাথর সংশ্লিষ্ট জীবিকা নির্বাহকারী ব্যবসায়ি শ্রমিক ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন। সাংগঠনের মুখপাত্র নূরুল আমিন ও শাব্বির আহমদের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন যুগ্ম আহ্বায়ক ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, রফিকুল হক ও সিলেট জেলা ট্রাক মালিক গ্রুপ সভাপতি গোলাম হাদী ছয়ফুল।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয় সিলেটের পাথর কোয়ারিসমূহ বন্ধ থাকার ফলে দীর্ঘদিন ধরে সেখানকার লাখো শ্রমজীবী ব্যবসায়ী রোজগার বঞ্চিত অবস্থায় মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পাথর ব্যবসায়ীরা কোটি কোটি টাকা তাদের ব্যবসায় লগ্নি করে ধারবাহিক লোকশানের মুখে পড়ে এবং ব্যাংক ঋণ নিয়ে দেউলিয়া হয়ে পড়েছেন। পাথর সংশ্লিষ্ট জীবিকা বন্ধ থাকার ফলে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর ও ছাতক উপজেলা সহ এ অঞ্চলের প্রান্তিক জনগোষ্ঠী আজ চরম ভাবে দুর্দশাগ্রস্ত। সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়- কতিপয় পাথর খেকো চক্র নিষিদ্ধ বোমা মেশিন দিয়ে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ক্ষতি সাধন এবং অপরিকল্পিত ভাবে যন্ত্রযান দিয়ে পাথর উত্তোলনের ফলে পাথর কোয়ারীতে এ অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অথচ শক্তিশালী মনিটরিং এর মাধ্যমে পাথর খেকো চক্রের ধ্বংসযঞ্জ প্রতিহত করে সনাতন পদ্ধতিতে পাথর আহরন করা হলে শ্রমজীবী মানুষ ও পাথর ব্যবসায়ীরা তাদের বুনিয়াদী পেশায় নিয়োজিত থেকে জীবিক চালিয়ে যেতে সক্ষম হতো।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়- সিলেটের পাথর কোয়ারিসমূহে বিপুল পরিমান পাথর মওজুদ রয়েছে এসব পাথর উত্তোলন করে দেশের নির্মানশিল্প ব্যবহার করা হলে মোটা অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রার অপচয় থেকে দেশ রক্ষা পেতো। এছাড়া পাথর উত্তোলন ও বিপনন বন্ধ থাকায় সিলেট অঞ্চলের পরিবহন সেক্টরে সম্পৃক্ত হাজার হাজার শ্রমিক মালিক বেকার অবস্থায় দিনতিপাত করছেন। এর প্রভাবে সিলেটের ব্যবসা বানিজ্যে বিরাজ করছে স্থরিরতা। সংবাদ সম্মেলনে আরও উল্লেখ করা হয় সিলেটের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের কোন ব্যবস্থা না থাকায় পাথর কোয়ারীই ছিল তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন। এ ক্ষেত্রটিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষ আজ দিশেহারা। সংবাদ সম্মেলনে সিলেটের দুর্দশাগ্রস্ত লাখো মানুষের জীবন জীবিকা রক্ষার লক্ষ্যে অবিলম্বে পাথর কোয়ারী সমূহ খুলে দিয়ে পরিবেশ সম্মতভাবে পাথর আহরণের ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল, যুগ্ম সম্পাদক শওকত আলী বাবুল, বিশিষ্ট পাথর ব্যবসায়ী হাজী রফিকুল ইসলাম, আজির মিয়া, পাথর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মাসুক মিয়া, সুহেল মিয়া, প্রমুখ।