শ্রীমঙ্গলে প্রকৃতিতে পাখা মেলেছে কাশবনের সৌন্দর্য

11

হোক না করোনাকাল। শরতের অপরূপ যে কাউকে মুগ্ধ করে তুলবে। মৃদু বাতাসে ঢেউ খেলানো কাশফুল দেখে যখন মনটা ভরে ওঠে আনন্দে। তখন মুগ্ধ হয়ে কবি রবিঠাকুরের সুরে সুর মিলিয়ে গেয়ে উঠতে মন চায়-‘তুমি নব নব রূপে এসো প্রাণে, এসো গন্ধে বরণে এসো গানে, তুমি নব নব রূপে এসো প্রাণে’।
নীল আকাশে গুচ্ছ সাদা মেঘের ছোটাছুটি। নদীর ধারে কিংবাপাহাড়ি ছড়ার দু’পাশ জুড়ে মৃদু সমীরণে দোল খাওয়া শুভ্র কাশফুলের স্নিগ্ধতা। বেলি, শিউলি, শাপলা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য নিয়ে আগমন শরৎ কালের। গ্রীষ্মের চোখ ধাঁধানো রোদ আর বর্ষার অঝোর ধারার শ্রাবণ ঢলের পর আগমন এই শরতের। বৃষ্টি আর রৌদ্র ছায়ার খেলার মধ্য দিয়ে ধবধবে দুধসাদা ফুলে ভরে ওঠে কাশবন।
ছোট-বড় পাহাড় টিলা, ছড়া নদী ঘেরা পর্যটন নগরী খাত শ্রীমঙ্গলে শরতের এই রূপের দেখা মিলছে ভুরভুরিয়া ছড়ার দু’পাশে। শ্রীমঙ্গলের-ভানুগাছ সড়কের বাংলাদেশ টি বোর্ড চা বাগানের ভেতর দিয়ে বয়ে গেছে এই পাহাড়ি ছড়া।
দৃষ্টিনন্দন চা বাগান ছাড়াও লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক, চা মিউজিয়াম, বাইক্কা বিল, হাইল হাওর, লাল টিলা টেম্পল, হরিনছড়া গলফ, আদিবাসী পল্লীসহ এখানকার জীবন ও প্রকৃতি টানে বছর জুড়ে এখানে ভীর করেন ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরা।
শরতে ভরে ওঠা কাশবন যেন এখন নতুন মাত্রা যোগ করেছে। মেঘ আর কাশ ফুলের সাদা রাজ্যে পর্যটকরা আনন্দে মাতোয়ারা। সেই সাথে ইচ্ছেমত ছড়ার জলে খুনসুটি করছেন। এর সাথে ডিএসএলআর এ ছবি তুলতে ব্যস্ত পর্যটকরা। (খবর সংবাদদাতার)