চাঁদাবাজি মামলায় সিলেটের বহুল আলোচিত শ্রমিকনেতা আবু সরকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেছেন আদালত। ৬ সেপ্টেম্বর রবিবার সিলেট চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট ৩য় আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলা এ পরোয়ানা জারী করেন। সিআরঃ ৩৩৬/২০১৯ইং নং মামলায় রাধিকা রঞ্জন দাশ ওরফে আবু সরকারসহ ১১জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সিলেট জেলায় সবত্র ট্রাক থেকে বিভিন্ন হারে নামে বেনামে চাঁদাবাজি হয়ে আসছে। এমনকি ভোলাগঞ্জ, তামাবিল, জাফলং থেকে বিভিন্ন জেলা আগত গাড়ীগুলো লোড নিলে ওভারলোডের কথাবলে গাড়ী আটকিয়ে আবু সরকারসহ অন্যান্য শ্রমিক নেতারা নির্দিষ্ট হারে চাঁদাবাজি করছেন। তাদের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ হয়ে বিভিন্ন জেলার গাড়ী সিলেট আসতে অপারগতা প্রকাশ করায় এবং ট্রান্সপোর্ট ব্যবসা যেহেতু গাড়ীগুলো সিলেট আসার উপর নির্ভরশীল তাই বাধ্য হয়ে ট্রান্সপোর্ট মালিক গ্র“পের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ সাহেদুর রহমান বাদী হয়ে গত ৩১ ডিসেম্বর ২০১৯ইং তারিখে আবু সরকার গং ৭জনকে আসামী করে মাননীয় আদালতে সি,আর ৩৩৬/২০১৯ইং দন্ডবিধি ৩৮৫/৩৮৬/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেন। মাননীয় আদালত অত্র মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেন। পিবিআই দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১১জনকে আসামী করে উল্লেখিত ধারাগুলোর প্রাথমিক ভাবে সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বলে রির্পোটে উল্লেখ্য করেন। সে হিসেবে ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ইং তারিখে বিজ্ঞ আদালত দক্ষিণ সুরমা থানা এসএমপিকে আসামীদের গ্রেফতার পূর্বক হাজির করার নির্দেশ প্রদান করেন। বর্ণিত তারিখে আসামীগণ আদালতে হাজির না হওয়ায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন।
উল্লেখ্য, শাহেদুর রহমান কর্তৃক উপরোক্ত চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করায় আবু সরকার সহ তার সহযোগিরা ক্ষিপ্ত হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় গত ১১ আগষ্ট ২০২০ইং তারিখে দক্ষিণ সুরমা থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় শাহেদ গংরা আদালতের মাধ্যমে জামিনে রয়েছেন। বিজ্ঞপ্তি