বালাগঞ্জে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে বেতরী-কুশিয়ারা নদী উন্মুক্ত ঘোষণা

21
বালাগঞ্জ উপজেলা মৎস্য অফিসের উদ্যোগে বেতরী খালে মাছের পোনা অবমুক্ত করছেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিলেট-৩ আসনের এমপি মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরী।

শিপন আহমদ ওসমানীনগর থেকে :
বালাগঞ্জ উপজেলায় প্রবাহমান কুশিয়ারা ও বেতরী নদী উন্মুক্ত ঘোষণা করেছেন সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী। মাছ উৎপাদন বৃদ্ধি করি-সুখি সমৃদ্ধি দেশ গড়ি’ এই প্রতিপাদ্যের বাস্তবায়নে বালাগঞ্জের হাওরে পোনা মাছ অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলায় কুশিয়ারা ও বেতরী নদীকে উন্মুক্ত ঘোষণা করেন তিনি। সরকারের ২০২০-২১ অর্থ বছরের রাজস্ব বাজেটের আওতায় বালাগঞ্জের মাইজাইল ও চাতল-ফাটা চাতল হাওরে অবমুক্ত করা হয়েছে পোনামাছ। শনিবার দুপুরে বালাগঞ্জ উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানের। বালাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সিলেট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ, বালাগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মোস্তাকুর রহমান মফুর, বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ গাজী আতাউর রহমান। জ্যেষ্ঠ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা নির্মল চন্দ্র বণিকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বালাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ মতিন, প্রচার সম্পাদক মো. নাসির উদ্দিন,ইউপি চেয়ারম্যান হিমাংশু রঞ্জন দাস, বালাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী এ এম এ জি কিবরিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা খলিলুর রহমান খলকু, আজমল বেগ, মুকিত আহমদ চৌধুরী, ইউপি সদস্য মাহবুবুর রহমান, মহিবুল হাসান বুলবুল, হারুনুর রশীদ জায়েদ, শায়েস্তা মিয়া, দক্ষিন সুরমা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম মুশিক, বালাগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য তারেক আহমদ, প্রভাষক রুহুল আমিন, সংবাদকর্মী বদরুল আলম, এমপি’র ব্যক্তিগত সহকারী জুলহাস আহমদ, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দুলাল আহমদ, বালাগঞ্জ উপজেলা মৎস্য দপ্তরের ক্ষেত্র সহকারী শামসুল হক, শেখ আবু নাহিদ, লিফ শেখ মো. আশিকুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বালাগঞ্জ উপজেলায় প্রবাহমান কুশিয়ারা ও বেতরী নদী উন্মুক্ত ঘোষণার পাশাপাশি প্রধান অতিথি সংসদ সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী আরোও বলেন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচনসহ একবিংশ শতাব্দির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ও জাতির জনকের সোনার বাংলা গড়তে ‘জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে মৎস্য চাষ ও সংরক্ষণ কার্যক্রমকে পরিণত করতে হবে সামাজিক আন্দোলনে। দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধিতে ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় বাস্তবায়িত হচ্ছে নানামুখী পদক্ষেপ। স্বাদু পানির মাছ উৎপাদনে দেশকে বিশে^র প্রথম স্থানে এগিয়ে নিতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। অনুষ্ঠান শেষে ১০ থেকে ১৫ সে.মি.আকারের কার্প জাতীয় প্রায় ২৯০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।