এ্যাম্বুলেন্স’র ব্যানারে অপতৎপরতা

17

এ্যাম্বুলেন্সের ব্যানারে অবৈধ পণ্যের পাচার নতুন কোন ঘটনা নয়। এর মাধ্যমে অবৈধ পণ্যের পাচার জম-জমাট। প্রতিরোধের পদক্ষেপ নাই বলেই চলে। এ্যাম্বুলেন্সগুলোর অপতৎপরতা দিন-দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সব এ্যাম্বুলেন্স এর অপতৎপরতা রোধে পদক্ষেপ নেয়া খুবই জরুরী।
সাম্প্রতিক সময়ে সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন সড়কে এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে দুবৃর্ত্তরা অপকর্ম চালিয়ে গেলেও এরা ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যায়। এরা এ্যাম্বুলেন্সের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই, রাহাজানি, অবৈধ পণ্যের সরবরাহ ছাড়া ও এগুলোর মধ্যে গরু-ছাগল চুরির ঘটনা অহরহ ঘটচ্ছে। শহর ও গ্রামীণ অঞ্চলে এসব এ্যাম্বুলেন্স রোগী বহন করুক বা না করুক অযথা শাইরেন বাজিয়ে জনমনে বিভ্রান্তের সৃষ্টি করা তাদের স্বভাবে পরিণত হয়েছে।
এগুলোর অপতৎপরতা সর্বত্র বিরাজ করছে। এ গুলো রোগী বহনের কথা থাকলেও ব্যবহৃত হয় নানা অপকর্মে। এগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে এ সব দুর্বৃত্তরা অপকর্মের বিস্তার আরো বৃদ্ধি করবে বলে অনেকে মনে করেন।
সিলেট শহর সহ এ অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত নামে-বেনামে শত-শত সরকারী-বেসরকারী হাসপাতাল ছাড়া ও ক্লিনিক সমূহের একের অধিক এ্যাম্বুলেন্স রয়েছে, এ ছাড়াও ব্যক্তি মালিকানা অসংখ্যক এ্যাম্বুলেন্স শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে চলাচল করে, এগুলো যাতায়াতের সময় অবৈধ কর্ম তৎপরতা চালাতে দ্বিধা বোধ করে না। এ সব এ্যাম্বুলেন্স’র চালকরা রোগী বহন করতে গিয়ে যাত্রী বহন সহ অবৈধ পণ্যে বহন করে থাকে। এ্যাম্বুলেন্সের আবরণে নানা অবৈধ কাজ করে থাকে।
সাম্প্রতিক সময়ে এ্যাম্বুলেন্স’র মাধ্যমে অবৈধ পণ্যের লাখ-লাখ টাকার চালান আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে ধরা পড়েছে, অতীতে ও বড়-বড় অবৈধ পণ্যের চালান ধরা পড়ে। এসব এ্যাম্বুলেন্স গুলোর সর্বত্র, তাদের অপতৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। এদের অপকর্ম রোধে আইনী পদক্ষেপ নেয়া অতীব জরুরী বলে সচেতন মহল মনে করেন।