জকিগঞ্জে হত্যা মামলার আসামী মোবাইল চোর গ্রেফতার, ১৮টি মোবাইল উদ্ধার

18

জকিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
জকিগঞ্জ পৌর শহরে একটি মোবাইলের দোকানে চুরির ঘটনায় ১৮টি মোবাইলসেট উদ্ধারসহ জড়িত যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত যুবক পৌর এলাকার আনন্দপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ইমন মিয়া (১৯)।
সোমবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জকিগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই শাহিনুর রহমান তাকে গ্রেফতার করেন। পরে তার তথ্যর ভিত্তিতে ওসি মীর মো. আব্দুন নাসের, ওসি (তদন্ত) সুশংকর পাল ও এসআই শাহিনুর রহমান আনন্দপুর গ্রামের মস্তুফা আহমদ মস্তুর খড়ের ঘর থেকে লুন্ঠিত ১৮টি মোবাইল ও একটি স্পিকার সেট উদ্ধার করেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের সাথে প্রেস ব্রিফিং করেছেন জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি জানান, গত ৩ মার্চ গভীর রাতে জকিগঞ্জ পৌর শহরের একটি মোবাইলের দোকানে তালা ভেঙ্গে চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জকিগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা হয়। ‘ক্লু লেস’ মামলাটি পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তদন্ত চালিয়ে অবশেষে জড়িত যুবক ইমনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে গ্রেফতারকৃত আসামী ইমন মিয়া একটি হত্যা মামলা থেকে জামিনে মুক্তি পেয়ে ৩ মার্চ মোবাইলের দোকানে চুরির ঘটনা ঘটায়। তার দেয়া তথ্য মতে পুলিশ ১৮টি মোবাইল সেটও উদ্ধার করে। এর আগে সে তার পাশের বাড়ির একটি ছোট বাচ্চাকে হত্যা করে লাশ গুম করেছিলো বলে প্রেস ব্রিফিংয়ে জানায় পুলিশ। পরে একটি পরিত্যক্ত পুকুর থেকে পুলিশ বাচ্চাটির লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তখন ইমন মিয়াকে পুলিশ আটক করলে সে শিশু হত্যার ঘটনা স্বীকার করে। পরবর্তীতে আদালত তাকে কিশোর সংশোধন কেন্দ্র প্রেরণ করেন। কারণ ওই সময় বয়সে সে ছিলো কিশোর। কিশোর বয়স থেকে অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়া ইমন চুরির ঘটনা ঘটিয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছিলো। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে তাকে সনাক্ত করে।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মীর মো. আব্দুন নাসের জানান, অভিযুক্ত ইমন মিয়াকে মঙ্গলবার আদালতে প্রেরণ করলে সে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আদালতে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।