স্টাফ রিপোর্টার :
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লন্ডন-সিলেট সরাসরি ফ্লাইট দীর্ঘ এক মাস পর চালু হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে বিজি-২০২ ‘অচিন পাখি’ এয়ারক্রাফটটি সবমিলিয়ে ১১৬ জন যাত্রী নিয়ে সিলেট এসে পৌঁছায়। এর মধ্যে সিলেটের ৬৫ জন এবং ঢাকার ৫১ জন যাত্রী ছিলেন।
সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ আহমদ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, লন্ডন থেকে বিমানের ফ্লাইটটি ১১৬ জন যাত্রী নিয়ে সোমবার সকাল ১০টা ১০ মিনিটে সিলেটে এসে পৌঁছায়। যাত্রা বিরতির পর ফ্লাইটটি ঢাকার উদ্দেশে সিলেট ছাড়ে। তিনি জানান, সিলেট-লন্ডন বিমানের সরাসরি ফ্লাইটটি দীর্ঘ প্রায় এক মাস বন্ধ থাকার পর চালু হলো। এখন থেকে সপ্তাহের প্রতি সোমবার লন্ডন-সিলেট-ঢাকা রুটে ফ্লাইট চলাচল করবে।
বিমান সূত্র জানায়, ২০১৮ সালে বিজয়ের মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বিমানের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারক্রাফট ‘অচিন পাখি’ সোমবার লন্ডন থেকে যাত্রী নিয়ে সরাসরি সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। গত ১৬ জুলাই লন্ডন-সিলেট রুটে সরাসরি ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। বলা হয়, লন্ডন থেকে দেশে আসা সিলেটের যাত্রীরা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে তাদের সিলেটে ফিরতে হবে। বিমান কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত সিলেটবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এতে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সিলেটেও। এরপর গত ৪ আগষ্ট বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব স্বাক্ষরিত এক পত্রে ১০ আগষ্ট থেকে পুনরায় লন্ডন-সিলেট ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে ওসমানী বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়।
বিমানের সিলেট জেলা ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ মজুমদার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যে সব যাত্রী করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছেন, তারা নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাবেন। আবার যাদের সার্টিফিকেট নেই, তাদেরকে আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হবে। বিমানবন্দরে বিমান ও সিভিল এভিয়েশনের প্রতিনিধি ছাড়াও আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন জানান এ বিমান কর্মকর্তা। বিমানটি এ বিমানবন্দরে এক ঘন্টা অবস্থানের পর ঢাকায় উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। একই বিমানে সিলেট থেকে আরো ৩৪ জন যাত্রী ঢাকায় গেছেন বলে জানান তিনি।
জানা গেছে, খাদিম বিআরডিটিআইকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যেসব প্রবাসী সেখানে থাকতে অনাগ্রহী তাদেরকে হোটেল ফরচুন গার্ডেনে রাখা হবে।