মাসুদ-ওকস-বাটলারদের র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি

10

স্পোর্টস ডেস্ক :
ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে শেষ হওয়া তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে পাকিস্তানকে ৩ উইকেটে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। ম্যাচে উল্লেখযোগ্য পারফরমেন্স ছিলো তিন জনের। এরা হলেন- পাকিস্তানের ওপেনার শান মাসুদ, ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জস বাটলার ও বোলিং অলরাউন্ডার ক্রিস ওকস।
ম্যানচেস্টার টেস্টের পর খেলোয়াড়দের নতুন র‌্যাংকিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। ম্যানচেস্টারে পাকিস্তানি ওপেনার মাসুদ প্রথম ইনিংসে ১৫৬ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের বাটলার ৭৫ ও ওকস অপরাজিত ৮৪ রান করেন। ষষ্ঠ উইকেটে ১৩৯ রানের জুটি গড়ে ইংল্যান্ডের জয়ও নিশ্চিত করেন তারা। এমন পারফরমেন্সের কারণে আইসিসি টেস্ট র‌্যাংকিংয়ে উন্নতি হয়েছে মাসুদ-বাটলার ও ওকসের।
১৪ ধাপ এগিয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ১৯তম স্থানে উঠেছেন মাসুদ। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা র‌্যাংকিং। র‌্যাংকিং তালিকায় পাকিস্তানিদের মধ্যে মাসুদের ওপরে ষষ্ঠ স্থানে আছেন বাবর আজম। বাবর ৭৯১ ও মাসুদের রেটিং ৬৫৩।
প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৮ ও দ্বিতীয় ইনিংসে দুর্দান্ত ৭৫ রান করেন বাটলার। ফলে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ৪৪তম স্থান থেকে ৩০তম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। ১৪ ধাপ উন্নতি হয়েছে তার। তার রেটিং ৫৮৯।
ইংল্যান্ডের জয়ে প্রধান ভূমিকা রেখে ম্যাচ সেরা হন ওকস। দুই ইনিংসে ১৯ ও ৮৪ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় ইনিংসে তার অপরাজিত ৮৪ রান ইংল্যান্ডকে অবিস্মরণীয় জয় এনে দেয়। তাই ব্যাটসম্যানদের তালিকায় ১৮ ধাপ এগিয়ে ৭৮তম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন ওকস। তার রেটিং ৩৯৬।
ম্যাচে ৪ উইকেটও নিয়েছেন ওকস। তাই অলরাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়েও উন্নতি হয়েছে তার। তালিকার সপ্তম স্থানে উঠে এসেছেন তিনি। এখানে তার রেটিং ২৭৩। ৪৬৪ রেটিং নিয়ে শীর্ষে আছেন ওকসের সতীর্থ বেন স্টোকস।
বল হাতে ৬ উইকেট নেয়া ইংল্যান্ড পেসার স্টুয়ার্ট ব্রডের আগের অবস্থান, তিন নম্বরেই আছেন। তবে দুই নম্বরে থাকা নিউজিল্যান্ড পেসার নেইল ওয়েগনারের সঙ্গে ৭ রেটিং ব্যবধান কমিয়েছেন ব্রড। ওয়াগনার ৮৪৩ ও ব্রডের রেটিং ৮৩৬।
টেস্ট বোলারদের মধ্যে এক নম্বরে আছেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার প্যাট কামিন্স। তার রেটিং ৯০৪। ব্যাটিং র‌্যাংকিংয়ে এক নম্বরে আছেন যথারীতি অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। তার রেটিং ৯১১। পরের স্থানে থাকা ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির রেটিং ৮৮৬। ৮২৭ রেটিং নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছেন গত অ্যাশেজে কনকাশন সাব হিসেবে খেলতে নামা অস্ট্রেলিয়ার মার্নাস লাবুশেন।