হবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
করোনা পরিস্থিতিতে সারাদেশের বেশিরভাগ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রায় তিনি থেকে পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। হাতে গোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বেতন দিলেও বেশিরভাগ নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা বেতন পাননি।
দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হলে গত ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করে সরকার। এরপর দফায় দফায় বন্ধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ নির্দেশনায় আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত এ মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি আদায়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়। ফলে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নন-এমপিও শিক্ষকদের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। এসময় নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনও আয় না থাকায় মার্চ থেকেই তাদের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বন্ধ রয়েছে।
সারাদেশের ন্যায় এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে বিশ্বের বৃহত্তম গ্রাম বানিয়াচংয়ের নন-এমপিও শিক্ষকদের ওপর। এদের অধিকাংশই বেতনহীন মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তেমনই বানিয়াচংয়ের একজন শিক্ষক মোহাম্মদ আলী। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে ১ম স্থান অর্জনকারী মোহাম্মদ আলী হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার একটি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক। কিন্তু তিনি একজন নন-এমপিও শিক্ষক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তিনি প্রায় তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না।
এভাবে শুধু মোহাম্মদ আলীই নন, তার মতো বানিয়াচংয়ের বেশিরভাগ নন-এমপিও শিক্ষক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। কষ্ট লাঘবে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করছেন তারা।