কাজিরবাজার ডেস্ক :
অস্ত্র আইনের মামলায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ চার্জশিট জমা দেয়া হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মো. শায়রুল এ চার্জশিট দাখিল করেন। শিগগিরই এ চার্জশিট আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
আদালতের জিআরও (সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা) মো. জালাল উদ্দিন যুগান্তরকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা সীমান্ত থেকে গ্রেফতার করা হয় সাহেদকে। পরদিন করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ডে থাকা সাহেদকে নিয়ে ১৮ জুলাই রাতে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে এ মামলা করা হয়।
এ ছাড়া গত রোববার ওই প্রথম দফায় ১০ দিনের রিমান্ড শেষে দ্বিতীয় দফায় ঢাকা ও সাতক্ষীরার মোট পাচঁ মামলায় সাহেদের মোট ৩৮ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত। বর্তমানে সাহেদ রিমান্ডে আছেন।
গত ১৫ জুলাই বোরকা পরে একটি নৌকায় অস্ত্রসহ দেবহাটার পারুলিয়া ইউপির কোমরপুর গ্রামের ইছামতি নদী সংযুক্ত লাবণ্যবতী নদীর কুমড়োর খাল দিয়ে ভারতে পালিয়ে যাবার সময় র্যাব তাকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগজিন জব্দ করা হয়। মামলায় আসামি হন সাহেদ ও বাচ্চু মাঝিসহ অজ্ঞাত একজন।
গত ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম। অভিযানে ভুয়া করোনা টেস্টের রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ৭ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের দুটি শাখাকেই সিলগালা করা হয়।