নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের ভানুদেও গ্রামের বিধবা গয়ালি বেগম (৬৫) নামের এক বৃদ্ধা শিরণি আনতে গিয়ে আহত হওয়ার ২ দিন পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ময়না তদন্তের পর সোমবার রাত ৯ টায় নামাজে জানাযা শেষে তাকে গ্রাম্য কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি। এলাকাবাসী জানান, ওই গ্রামের মৃত রজব উল্লার স্ত্রী বৃদ্ধা গয়ালি বেগম গত শনিবার দুপুরে পার্শ্ববর্তী সদরঘাট গ্রামে জনৈক এক ব্যক্তি মারা গেলে তার বাড়িতে যান শিরণি আনতে। তার নাতি রুমান মিয়াও অটোরিক্সায় যায় সদরঘাট গ্রামে। অটোরিক্সার ভাড়া নিয়ে চালক জুলাই মিয়ার সাথে রুমানের তর্কবিতর্ক হয়। এ সময় গয়ালি বেগম জুলাই মিয়ার রিক্সায় উঠার কারণে তার নাতিকে শাসন করছিলেন। সেখানে শিরণি আনতে গিয়েছিল জুলাই মিয়ার খালাতো বোন ভানুদেও গ্রামের লাভলী বেগমও। লাভলী বেগম এ সময় জুলাই মিয়ার পক্ষ ধরে গয়ালি বেগমের সাথে তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে লাভলী বেগম গয়ালি বেগমের উপর হামলা চালায় এবং গয়ালি বেগম আহত হন। আশেপাশের লোকজন এ ঘটনা দেখতে পেয়ে গয়ালি বেগমকে উদ্ধার করে প্রথমে গোপলার বাজারে নিয়ে যান।পরে রাত ৮ টায় নবীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে ২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর সোমবার সকালে মারা যান। সিলেটে ময়না তদন্ত শেষে গয়ালি বেগমের লাশ নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে দেখিয়ে সন্ধ্যায় গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে রাত ৯ টায় নোয়াগাঁও কবরস্থানে নামাজে জানাযার পর দাফন করা হয়।