স্পোর্টস ডেস্ক :
টেনিস কোর্টে মারিয়া শারাপোভার যে সাফল্যই থাক, ডোপ পরীক্ষায় তাঁর ব্যর্থ হওয়া নিয়েই হৈচৈ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ২০১৬ সালে অস্ট্রেলীয় ওপেনে রুশ টেনিস সুন্দরীর নমুনায় পাওয়া যায় নিষিদ্ধ মেলডোনিয়াম। শারাপোভা ভুল স্বীকার করেন।
শুরুতে শারাপোভার দুবছরের নির্বাসন হলেও পরে অনিচ্ছাকৃত ভুলের জন্য কমিয়ে ১৫ মাস করা হয়। মেয়েদের টেনিসে প্রাক্তন এই তারকা সম্প্রতি এক তথ্যচিত্রে জানিয়েছেন, এই ঘটনায় কতটা ভেঙে পড়েছিলেন। এবং সে সময় নিজের বাবা-মা’র সঙ্গই তাঁকে দুঃসহ অন্ধকার থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করেছিল।
শারাপোভা বলেছেন, ‘সেদিন সকালে (৭ মার্চ, ২০১৬) ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই মনে হল, কোনও ম্যাচের জন্য তৈরি হচ্ছি যেন। কিন্তু আসলে তো তা নয়। জানতাম, এবার আমাকে সবার সামনে গিয়ে বলতে হবে সত্যিটা।’
যোগ করেছেন, ‘সংবাদ সম্মেলনের পরে নিজেকে শান্তিতে রাখতে ফোন থেকে সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সব যোগাযোগ মুছে দিয়েছিলাম। যাতে মানসিকভাবে শান্তিতে থাকতে পারি। নানা রকম মন্তব্য না শুনতে হয়। অথচ তার আগে কখনও লোকে আমাকে নিয়ে কী বলছে তা নিয়ে মাথাই ঘামাইনি। আর হঠাৎই আমার জীবনে এ সব ঘটে গেল!’
শারাপোভা স্বীকার করেছেন, ডোপিংয়ের ঘটনা তাঁর জীবনের দুঃসহ এক অভিজ্ঞতা। অস্বস্তিরও। এবং এই সময়টায় নিজের বাবা-মাকে পাশে পাওয়াটা তাঁর কাছে বিরাট প্রাপ্তি।
মারিয়া বলেছেন, ‘মা আমাকে বলত, আর কখনও টেনিস না খেললেও আমার কিছুই হবে না। সপ্তাহের পর সপ্তাহ মা আমার সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমিয়েছে। যাতে একাকীত্বের অবসাদ আমায় গ্রাস না করে। সঙ্গে সারাক্ষণ বাবাকেও পাশে পেয়েছি। বাবাও বারবার বুঝিয়েছে, ভেঙে পড়ার মতো কিছুই হয়নি। আর কখনওই আমার অবস্থার জন্য অন্যদের দায়ী করিনি।’