কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনা পরিস্থিতির কারণে দুই মাস যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার পরও গত ছয় মাসে রেলপথে ১০৫টি বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনায় ১১৩ জন নিহত ও আরো ১৫ জন আহত হয়েছে। এরমধ্যে ২৬ নারী ও ১১ শিশু রয়েছে।
শুক্রবার প্রকাশিত গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশ (জিসিবি) এবং নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির (এনসিপিএসআরআর) যৌথ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জিসিবি ও এনসিপিএসআরআর যৌথ প্রতিবেদনে জানানো হয়, চলতি বছররে ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে এসব দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারিতে ২৬টি দুর্ঘটনায় চার নারী ও পাঁচ শিশুসহ ২৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ফেব্রুয়ারিতে ৪২টি দুর্ঘটনায় ৪৪ জন নিহত ও সাতজন আহত হন। নিহতের তালিকায় ১৪ নারী ও দুই শিশু রয়েছে। মার্চে ১৮টি দুর্ঘটনায় ছয় নারী ও দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন।
এপ্রিল ও মে মাসে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকলেও মে মাসে পণ্যবাহী ট্রেন চলাকালে রেলপথে চারটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। যাতে এক নারীসহ চারজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া জুন মাসে দুর্ঘটনার সংখ্যা ছিল ১৫। এতে এক নারী ও দুই শিশুসহ ১৭ জনের প্রাণহানি ঘটেছে।
দেশের ২৪টি বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং নয়টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া জানান, পর্যবেক্ষণে এসব দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির পেছনে পাঁচটি কারণ উঠে এসেছে। সেগুলো হচ্ছে মোবাইল ফোনে আলাপরত অবস্থায় রেলপথ পারাপার, রেলপথ সংলগ্ন এলাকায় চলাচলের ক্ষেত্রে পথচারীদের সচেতনতার অভাব, রেলপথ ক্রসিংগুলোর (সড়ক ও রেলপথের সংযোগস্থল) কর্মচারীদের দায়িত্ব পালনে গাফিলতি, কিছুসংখ্যক রেলসেতুসহ অনেক স্থানে রেলপথ দীর্ঘদিন সংস্কার না করা এবং দূরপাল্লার ট্রেনগুলোর চালকদের অসতর্কতা ইত্যাদি।