কাজিরবাজার ডেস্ক :
১ আগষ্ট আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হলে সরকারি চাকরিজীবীরা ঈদের বোনাস বেশি পাবেন। আর ৩১ জুলাই হলে কম পাবেন। এ নিয়ে জটিলতায় পড়েছে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ও।
চাঁদ ওঠার ওপর ভিত্তি করে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহা আগামী ৩১ জুলাই কিংবা ১ আগষ্ট হতে পারে। ৩১ জুলাই ঈদ হলে সরকারি চাকরিজীবীরা ঈদ বোনাস পাবেন জুন মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ। ২০১৫ সালের বেতন স্কেল অনুযায়ী সরকারি চাকরিজীবীদের ১ জুলাই থেকে বার্ষিক ৫ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট কার্যকর হয়। সে হিসেবে ১ আগষ্ট ঈদ হলে তাঁরা বোনাস বেশি পাবেন।
এখন কোন তারিখ ঈদ ধরে বোনাস দেওয়া হবে সেটা নির্ধারণে জটিলতায় পড়েছে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ও।
এ বিষয়ে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের মতামত হচ্ছে, ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১ আগষ্ট ধরে বার্ষিক বর্ধিত বেতনসহ জুলাই মাসে গৃহীত মূল বেতনের বা পেনশনের ভিত্তিতে ঈদুল আযহার উৎসবভাতা প্রদান করা হবে। ঈদুল আযহা যদি ৩১ জুলাই হয় তাহলে পরবর্তী মাসের বেতন বা পেনশন থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ে রবিবার চিঠি দিয়েছে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়।
অর্থসচিবের কাছে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ স্মারক অনুয়ায়ী, যে মাসে উৎসব অনুষ্ঠিত হবে তার পূর্ববর্তী মাসে আহরিত মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উৎসবভাতা হিসেবে পাবেন। পেনশনারদের উৎসবভাতা প্রদানের ক্ষেত্রেও পূর্ববর্তী মাসের আহরিত পেনশনের সমপরিমাণ উৎসবভাতা প্রদানের অনুরূপ নির্দেশনা রয়েছে।
এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ছুটির তালিকা অনুযায়ী আসন্ন ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ হচ্ছে আগামী ১ আগষ্ট। যেহেতু উৎসব চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় ঈদুল আযহা ৩১ জুলাইও অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উৎসবভাতা গত মাসের আহরিত মূল বেতন বা পেনশনের ওপর পরিশোধিত হবে নাকি জুলাই মাসের মূল বেতন বা পেনশনের ওপর ভিত্তি করে প্রদেয় হবে, সে বিষয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
বর্ণিত বিষয়ে এ কার্যালয়ের মতামত হচ্ছে, ঈদুল আযহা অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ১ আগষ্ট ধরে বার্ষিক বর্ধিত বেতনসহ জুলাই মাসে গৃহীত মূল বেতনের বা পেনশনের ভিত্তিতে ঈদুল আযহার উৎসবভাতা প্রদান করা যেতে পারে। ঈদুল আযহা ৩১ জুলাই হলে তা পরবর্তী মাসের বেতন বা পেনশন থেকে সমন্বয় করা যেতে পারে।
এ অবস্থায় সময়মতো কর্মকর্তা-কর্মচারী ও পেনশনারদের উৎসবভাতা প্রদানের লক্ষ্যে ন্যূনতম ১০ কর্মদিবস প্রয়োজন বিধায় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দ্রুত প্রদানের জন্য আদিষ্ট হয়ে অনুরোধ করা হলো।