করোনাকালের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য থেকে সিলেট নগরীকে জলাবদ্ধতা মুক্ত করতে ছড়া উদ্ধার ও সংরক্ষণের কাজ অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী।
মঙ্গলবার সিলেট নগরীর অন্যতম বৃহৎ ছড়া মুগনীছড়ার উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন সিটি মেয়র।
এ সময় আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকির মধ্যেও জনগুরুত্বপূর্ণ এসব প্রকল্পের কাজ অব্যাহত রয়েছে। নানা সংকট থাকলেও জনগুরুত্ব বিবেচনায় উন্নয়ন কাজ দ্রুত শেষ করা হবে। মুগনী ছড়া সহ অন্যান্য ছড়াগুলোরও অবৈধদখল উচ্ছেদের পর আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। ফলে নগরী পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে।
মেয়র বলেন, রিটেইনিং ওয়ালের পাশাপাশি চলাচলের সুবিধা ও সৌন্দর্য্য বর্ধনের জন্য দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
সিলেট নগরীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে মুক্ত করতে সিলেট সিটি করপোরেশনের ১১টি ছড়া সংরক্ষণ ও আরসিসি রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পের আওতায় এই উন্নয়ন চলমান রয়েছে। ছড়ার পাড়ে জনসাধারণের চলাচলের সুবিধার্থে সুপ্রশস্থ ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
চৌহাট্টা-রিকাবীবাজার সড়কের মুগনীছড়া ব্রীজ থেকে ৭২৭ ফুট দীর্ঘ এই ওয়াকওয়ে শরষপুর পর্যন্ত সম্পন্ন হবে। পর্যায়ক্রমে এই ওয়াকওয়েটি মুগনীছড়া পাড় ধরে কাজিরবাজার সংলগ্ন সুরমা নদী পর্যন্তযাবে।
এদিকে নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের মজুমদার পাড়ায় ড্রেন, কালভার্ট ও ছড়ার রিটেইনিং ওয়ালের চলমান উন্নয়ন কাজ পরিদর্শন করেন সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। পরিদর্শনকালে তিনি কর্তব্যরত কর্মকর্তাদের দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে কাজ সম্পন্ন করতে প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর তারেক উদ্দিন তাজ, কাউন্সিলর মাসুদা সুলতানা, সিসিকের প্রধান প্রকৌশলী মো. নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুল হক পাঠোয়ারী সহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি