নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের কোন কর্মকর্তা ও কর্মচার্রীর মধ্যে এই প্রথম সমাজ সেবা কার্যালয়ে ২ কর্মচারী একই সঙ্গে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় উপজেলার সকল কর্মকর্তা কমর্চারীরা মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। সমাজ সেবা কার্যালয়ের ২ জন সহ উপজেলায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩০ জনের করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
বৃধবার (১৭জুন) সকাল ১০ টায় সমাজ সেবা কর্মকর্তার ও কর্মচার্রীর নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভের খবর আসে। নতুন করোনা আক্রান্ত রোগী হলেন নবীগঞ্জ সমাজ সেবা কার্যালয়ের কারিগরি প্রশিক্ষক লাখাই উপজেলার সদর ইউনিয়ন বাদিঘর গ্রামের সৈয়দ আহমেদ ও মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নের মঙ্গলপুর গ্রামের অফিস সহায়ক অপু পাল (৩২)।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমার ২ জন কর্মচারী আক্রান্ত হওয়ায় আমরা আতঙ্কে আছি। শাখা লকডাউনের ব্যাপারে আমার অফিসের কর্মচারীরা দাবী জানিয়েছে। এ ব্যপারে উপজেলা প্রশাসন সহ উপরে মহলে কথা বলেছি। সিদ্ধান্ত আসলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রিপোর্টের ব্যাপারে নবীগঞ্জের স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ বলেন আক্রান্তের খবর শুনে হবিগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসে খোঁজ নিলে সেখানে কোন তথ্য না পেয়ে হতবাক হয়ে যান। পরে আক্রান্তের মোবাইলে ম্যাসেজ ও ফোনের খবরে জানা যায় আক্রান্তরা হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে নমুনা দেয় এবং সরাসরি আইসিডিডিআর নমুনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ায় তাড়াতাড়ি রিপোর্ট চলে আসে।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ শামীমা আক্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমরা সরাসরি রিপোর্টটি আইসিডিডিআরবি পাঠানোর ২ দিনেই করোনা শনাক্ত রিপোর্টটি এসেছে। এই বিষয়টি সিভিল সার্জন অফিস ও নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য বিভাগ জানে না। আক্রান্তের বিষয়টি তিনি সঠিক বলে নিশ্চিত করেছেন।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, আক্রান্ত ব্যক্তিদের নিজ নিজ বাসায় আইসোলেশনে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২ জনের নমুনা শনাক্ত হওয়ায় সমাজ সেবার সব কর্মকর্তার কর্মচারীর নমুনা সংগ্রহ করা হবে। সবাই সামাজিক দূরত্ব মেনে কাজ চালিয়ে যাবে।