স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর দক্ষিণ সুরমা ষাটঘর এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া পাথর ব্যবসায়ী আবুল কালামের লাশ গুমের ঘটনার রহস্য উদঘাটিত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ২ হোটেল কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মৃত শাফা মিয়ার পুত্র খলিলুর রহমান (২১) ও রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার চান্দুঘাটের আব্দুল খালেকের পুত্র আজিজুর রহমান (৩৫)।
গতকাল সোমবার পুলিশের প্রেসবিজ্ঞপ্তি থেকে জানা গেছে, গত ১০ জুন দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থানার সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার মহাসড়কের ষাটঘর এলাকার রাস্তার পাশে অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশের পরিচয় সনাক্তের জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রচার হলে মৃতের আত্মীয়-স্বজন উক্ত লাশ গোয়াইনঘাটের পাথর ব্যবসায়ী আবুল আবুল কালামের বলে সনাক্ত করেন। গত শনিবার মৃতের স্ত্রী মোছা. সালেহা বেগম মোগলাবাজার থানায় এসে এজাহার দায়ের করেন। রহস্য উদঘাটন ও ঘটনায় জড়িত অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের গ্রেফতারের অভিযানে নামে পুলিশ। বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে নগরীর সুরমা মার্কেটস্থ নিউ সুরমা হোটেল থেকে হোটেল কর্মচারী খলিলুর রহমান ও আজিজুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা জানান, জিজ্ঞাসাবাদে এ দুজন স্বীকার করেন যে, পাথর ব্যবসায়ী আবুল আবুল কালাম রাত্রীযাপনের জন্য তার পূর্ব পরিচিত খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করে গত ১০ জুন রাতে হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেন। রাতে হোটেলেই ব্যবসায়ী কালামের মৃত্যু হয়। এতে ভয় পেয়ে যায় হোটেল কর্তৃপক্ষ। এরপর হোটেলের মালিক কর্তৃপক্ষ ও কর্মচারী পরস্পর যোগসাজেশে প্রাণহানির ঘটনা ধামাচাপা ও লাশ গোপন করার জন্য রাতের অন্ধকারে সিএনজি অটোরিক্সা করে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে ষাটঘর নামক এলাকায় লাশ ফেলে চলে যায়। তিনি জানান, গ্রেফতারকৃতদের সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তারা জবানবন্দি প্রদান করেন। জবানবন্দী শেষে গতকাল আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।