দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারে উদ্ধার হওয়া লাশ জাফলংয়ের পাথর ব্যবসায়ীর ॥ পাওনা টাকার জন্য গিয়ে তিনি লাশ হলেন

67
নিহত আবুল কালামের ফাইল ছবি।

কে.এম লিমন গোয়াইনঘাট থেকে :
দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারে যে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে সেই মরদেহটি জাফলংয়ের পাথর ব্যবসায়ী আবুল কালামের। তিনি গত (১০ জুন) বুধবার সিলেটের দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার এলাকার এক ব্যক্তির কাছে পাথর ব্যবসার পাওনা টাকার জন্য গিয়ে আর বাড়ি ফিরেননি।
গতকাল শুক্রবার (১২ জুন) সকালে অনলাইনসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে তার ছবি দেখে মরদেহটি আবুল কালামের বলে তার পরিবারের লোকজন শনাক্ত করেন। আবুল কালাম (৫০) গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের কান্দুবস্তি গ্রামের বাসিন্দা।
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় ত্রিশ বছর ধরে আবুল কালাম জাফলং এলাকায় পাথর ব্যবসা করে আসছিলেন। কোয়ারি থেকে পাথর ক্রয় করে তা অন্যত্র বিক্রি করাই ছিল তার ব্যবসার ধরণ। এরই ধারাবাহিকতায় বেশ কিছুদিন ধরে সিলেটের মোগলাবাজার এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছে পাথর সরবরাহ করে আসছিলেন তিনি।
গত বুধবার বিকেলে পাথর বিক্রির বকেয়া টাকার জন্য মোগলাবাজার এলাকার ওই ব্যবসায়ীর উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান আবুল কালাম। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এরই মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সকাল সাড়ে ১০ টায় সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের পাশে শিববাড়ী বাজারের ষাটঘর নামক এলাকা থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে মোগলাবাজার থানা পুলিশ। পরে লাশের ময়না তদন্তের জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তাঁকে হত্যা করে বুধবার রাতের কোন এক সময়ে লাশ রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হলেও কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ।
খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে নিহতের ভাতিজা মো. সুমন মিয়া সেখানে গিয়ে মরদেহটি তার চাচা পাথর ব্যবসায়ী আবুল কালামের বলে শনাক্ত করেন। সুমন বলেন, পাওনা টাকার জন্য গিয়ে আমার চাচা লাশ হয়ে ফিরবেন আমরা কখনও ভাবতেও পারিনি।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের মোগলাবাজার থানার ওসি আক্তার হোসেন বলেন, মরদেহের শরীরে বাহ্যিক কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তারপরও বিষয়টি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পেলে হত্যা কি না তা জানা যাবে।