চীনের উহানকে ছাড়িয়ে গেল মুম্বাই, একদিনে আক্রান্ত ৯ হাজার ৯৮৫ জন

10

কাজিরবাজার ডেস্ক :
এবার চীনের উহান প্রদেশের মোট আক্রান্তের সংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেল মুম্বাইয়ের মোট আক্রান্তের সংখ্যা। ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ন’হাজার ৯৮৫ জন। এই বৃদ্ধির জেরে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে দু’লাখ ৭৬ হাজার ৫৮৩ জন।
আক্রান্তের নিরিখে রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, দিল্লি ও গুজরাট। আক্রান্তের পাশাপাশি মৃত্যু সংখ্যা বৃদ্ধিতেও উদ্বেগ বাড়ছে দেশে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার থাবায় দেশে মৃত্যু হয়েছে ২৭৯ জনের। কোভিড ১৯-এর কারণে দেশে মোট মৃত্যু হলো সাত হাজার ৭৪৫ জনের। এর মধ্যে মহারাষ্ট্রেই মৃত্যু হয়েছে তিন হাজার ২৮৯ জনের। গুজরাটে এক হাজার ৩১৩ জনের। এরপর রয়েছে রাজধানী দিল্লি। সেখানে মোট ৯০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। শতাধিক মৃত্যুর তালিকায় রয়েছে মধ্যপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানা।
দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি মহারাষ্ট্রে। চীনের মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যাকে আগেই ছাপিয়ে গিয়েছিল মহারাষ্ট্রের মোট আক্রান্তের সংখ্যা। চীনা সরকারের তথ্য অনুসারে, উহানে আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৩৩৩ জন। মুম্বাইয়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৫১ হাজার। গত ২৪ ঘণ্টায় দু’হাজার ২৫৯ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন সেখানে। এ নিয়ে সে রাজ্যে মোট আক্রান্ত হলেন ৯০ হাজার ৭৮৭ জন। এর পরই তামিলনাড়ুু।
এর মধ্যে মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, গুজরাট, পশ্চিমবঙ্গসহ দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫০টি করোনা প্রভাবিত জেলায় বিশেষজ্ঞ কেন্দ্রীয় দল পাঠানো হয়েছে, তাদের রিপোর্ট হাতে আসার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করা হবে, মন্ত্রিগোষ্ঠীর বৈঠকে জানান কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী৷ সূত্রের খবর, বিভিন্ন রাজ্য সফর করে তৈরি কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পরেই করোনা পরীক্ষা নীতিতে বদল আনার কথা ভাবতে পারে কেন্দ্রীয় সরকার, যেখানে দিল্লি, মুম্বইয়ের মতো অত্যধিক করোনা প্রভাবিত শহরে শুধু হাসপাতালে ভর্তি থাকা করোনা রোগীদের নিয়মিত করোনা পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে৷
এদিকে লকডাউনের জন্য ক্ষতির মুখে বহু ব্যবসা। তাই, কম মজুরিতে শ্রমিক পেতে কেউ কেউ নাবালক-নাবালিকাদের দিয়ে কাজ করাতে পারে বলে কেন্দ্র ও পশ্চিমবঙ্গসহ ৯টি রাজ্যকে সতর্ক করলো সুপ্রিম কোর্ট। নাবালকদের শ্রমিক হিসেবে ব্যবহারের ক্ষেত্রে আইনেই নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু দেশের শীর্ষ আদালতের আশঙ্কা, লকডাউনে সেই নিষেধাজ্ঞা তোয়াক্কা না-করার ঘটনা আরও বেশি করে ঘটতে পারে। যে কারণে শ্রমিক জোগান দেওয়া ঠিকাদাররাও সুপ্রিম কোর্টের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী নজরদারির আওতায় চলে এলেন।
শীর্ষ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, শিশু পাচার ঠেকাতে দায়ের হওয়া মামলায় শুনানিতে পশ্চিমবঙ্গসহ ৯টি রাজ্যকে যুক্ত করা হয়েছে, সেই সঙ্গে প্রধান বিচারপতি শরদ অরবিন্দ বোবদে কেন্দ্রীয় সরকার ও জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সংস্থাকেও ওই মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
লকডাউনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ থেকেও শিশু পাচারের অভিযোগ এসেছে বলে শীর্ষ আদালতে জানিয়েছে মামলাকারী স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বচপন বাঁচাও আন্দোলন। এমনকী, সুপ্রিম কোর্টে তাদের অভিযোগ, রাজ্যের বেশ কয়েক জন নাবালিকাকে এই সময়ের মধ্যে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। বহু ক্ষেত্রেই নাবালিকাকে বিয়ের ব্যবস্থা হয় পাচারের উদ্দেশ্যে। তার পর তাদের যৌন ব্যবসায় শামিল করা হয়।