মাহবুব আহমদ খান বিয়ানীবাজার থেকে :
বিয়ানীবাজারে আপন চাচীর ঘরের একটি পানির ড্রাম থেকে আরিফ হোসেন নামের ৩ বছর বয়সী এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার কুড়ারবাজার ইউনিয়নের উত্তর আকাখাজানা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত শিশু আরিফ হোসেন উত্তর আকাখাজানা গ্রামের খছরু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ঘাতকসহ দুজনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন- উত্তর আকাখাজান গ্রামের খছরু মিয়ার সহোদর রুনু মিয়ার স্ত্রী সুরমা বেগম (৩৫) এবং চারখাই মধুরচক এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে নাহিদ আহমদ ওরফে ইব্রাহিম (২৭)।
স্থানীয় এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, পারিবারিক বিরোধের কারণে দীর্ঘদিন থেকে দুইভাই খছরু ও রুনু পৃথকভাবে বসবাস করছেন। রবিবার সকালে হঠাৎ করে শিশু আরিফ নিখোঁজ হয়ে যায়। পরে তার খোঁজে বিভিন্ন মসজিদে মাইকিং করা হয়। পুকুরে ফেলা হয় জাল। আশপাশের বাড়ি, এমনকি ঝোঁপঝাড়েও খোঁজ মিলেনি ৩ বছরের শিশু আরিফের। অবশেষে তার মরদেহ মিললো আপন চাচার ঘরের একটি ড্রামে কম্বলে মোড়ানো অবস্থায়।
স্থানীয় সূত্রে জানায়, সবাই যখন আরিফের খোঁজে অস্থির। তখন তার আপন চাচী সুমা বেগমের আচরণ সকলের কাছে সন্দেহজনক মনে হয়। এক পর্যায়ে প্রতিটি বাড়ির ঘর তল্লাসী শেষে নিহত শিশুর চাচার ঘর তল্লাসী করতে গেলে সুমা বেগম স্বীকার করে গাছের ডাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে শিশুটিকে সে হত্যা করেছেন। হত্যার পর মরদেহ গুমের চেষ্টায় পানির ড্রামে কম্বল দিয়ে মুড়িয়ে রাখেন। পরে তার দেখানো মতে আরিফের মরদেহ বাথরুমে পাওয়া যায়। লাশ উদ্ধারের পর স্থানীয় জনতা হেফাজতে আটকে রাখা হয় ঘাতক সুমা বেগমকে। পরে খবর পেয়ে সন্ধ্যার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে। এ সময় ঘাতক সুরমা বেগমসহ আরও একজনকে আটক করে পুলিশ।
বিয়ানীবাজার থানার ওসি অবনী শংকর কর বলেন, খবর পেয়ে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করেছি। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে মর্গে প্রেরণের জন্য লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। মৃতদেহের মাথা ও গলা আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করছি- পারিবারিক কলহ থেকে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। তিনি বলেন, এ ঘটনায় ঘাতক সুরমা বেগম ও ইব্রাহিম নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে।