কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যারা নমুনা দিয়েছিলেন তাদের পরীক্ষার রিপোর্ট গত এক সপ্তাহ থেকে আসছে না। এতে করে যারা হাসপাতালে নমুনা দিয়েছেন তারা এবং তাদের পরিবারের লোকজন এক ধরনের দুশ্চিন্তায় রয়েছেন বলে যারা নমুনা দিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকে জানিয়েছেন। তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ না পজেটিভ সেটাও জানতে পারছেন না। এমনকি যারা ইতিমধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে তাদের অনেকেই পুণরায় হাসপাতালে নমুনা দিয়েছিলেন, কিন্তু এখনও তাদের রিপোর্টও নেগেটিভ না পজেটিভ জানা যায়নি। গত ৩০ মে থেকে ৫ জুন পর্যন্ত কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যারা নমুনা দিয়েছিলেন তাদের কারোরই রিপোর্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেনি। গত ৪ জুন কানাইঘাট উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান ইকবালের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নমুনা দিয়েছিলেন। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের পর থেকে এ পর্যন্ত ৫৭১জন কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নমুনা দিয়েছেন। তার মধ্যে শনিবার ১৮জন নমুনা হাসপাতালে সংগ্রহ করা হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যারা পূর্বে নমুনা দিয়েছিলেন গত ৩০ মে পর্যন্ত ৪৮ জনের করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৫২ জন, তাদের মধ্যে ৪ জন সিলেটে নমুনা দিয়েছিলেন। আক্রান্তদের মধ্যে ৩ জন সুস্থ হয়েছেন। মারা গিয়েছেন ২জন, তার মধ্যে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের হাজতী। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছেন ২৯০ জন। হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিধ সুবোধ চন্দ্র জানান, ৩০ মে পর থেকে তারা কোন ধরনের পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট সিলেট ওসমানী পিসিআর ল্যাব থেকে পাচ্ছেন না। যারা গত একসপ্তাহ থেকে বিশেষ করে হাসপাতালে এসে নমুনা দিয়েছেন এবং যারা পূর্বে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন বর্তমানে সুস্থ আছেন অনেকে পুনরায় নমুনা দিয়েছেন তাদেরও রিপোর্ট আমরা পাচ্ছি না। যারা গত একসপ্তাহে হাসপাতালে নমুনা দিয়েছেন তাদের স্বজনরা দ্রুত নমুনা সংগ্রহের রিপোর্ট পেতে কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
