নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ উপজেলার দেওপাড়া গ্রামের পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে সৈয়দ আলী (৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সোমবার রাত ৭টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দেওপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সৈয়দ আলী (৫৫) দেওপাড়া গ্রামের মৃত রাহাত উল্ল্যাহর পুত্র। এ ঘটনায় তাৎক্ষণিক ২ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের দেওপাড়া গ্রামের সৈয়দ আলীর পুত্র সুমন মিয়া একই গ্রামের মৃত মতিন মিয়ার পুত্র রুবেল মিয়ার কাছে ৫শ’ টাকা পাওনা ছিল। সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রুবেলের কাছে পাওনাকৃত ৫শ’ টাকা ফেরত চায় সুমন মিয়া। পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সুমন ও রুবেলের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। পরে স্থানীয় মুরব্বিরা পরিস্থিতি শান্ত করে ওইদিনই ইফতারের পরপর বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে উভয়কে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। ইফতারের শেষে স্থানীয় দেওপাড়া বাজারে স্থানীয় মুরব্বিয়ানসহ বিষয়টি মীমাংসায় বসেন। এ সময় উক্ত বৈঠকে সৈয়দ আলী, তার পুত্র সুমন মিয়াসহ আত্মীয় স্বজন ও রুবেল মিয়ার আত্মীয়স্বজন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শুরু হওয়া মাত্রই হঠাৎ করে রুবেল ও তার লোকজন সুমনের পিতা সৈয়দ আলী ও চাচা আনছব আলীর উপর হামলা চালায়। এ সময় রুবেল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে সৈয়দ আলী ও আনছব আলীকে আঘাত করে রক্তাক্ত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক সৈয়দ আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। আশংকাজনক অবস্থায় আনছব আলীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিজুর রহমানের নেতৃত্বে গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ কাওছার আলমসহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন। তাৎক্ষণিক ছুরিকাঘাতকারী রুবেল মিয়াসহ ২ জনকে বাহুবল থানা পুলিশের সহযোগীতায় আটক করা হয়। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিজুর রহমান নিহতের সত্যতা নিশ্চিত বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় মূল হোতা রুবেলসহ ২ জনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের এর প্রস্তুতি চলছে।