তাহিরপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে আধিপত্য বিস্তারকরাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে এক কিশোরীসহ ২০জন আহত হয়েছে।
গুরুতর আহত কামাল মিয়া ও মাজেদা বেগম নামে দুই জনকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
অন্যান্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৫ জনকে আটক করেছে।
আটকৃতরা হলেন- আলী হোসেন কমান্ডার (৫৫), জামাল মিয়া (৫৫), কবির হোসেন (২৬), ফরিদ মিয়া (৩৮)।
শনিবার দুপুরে তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ধরুন্দ গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের ধরুন্দ গ্রামের পরশ আলীর ছেলে মলাই মিয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে পার্শবর্তী কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত কডু মিয়ার ছেলে আলী হোসেন কমান্ডারের মধ্যে।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে মলাই মিয়ার কলেজ পড়ূয়া ছোট ভাই সালমান শাহ বাদাঘাট বাজারে আসার সময় ধরুন্দ গ্রামের সামনের রাস্তায় আলী হোসেন কমান্ডারের ছেলে কামাল হোসেন দাঁড়ালো অস্ত্র নিয়ে সালমানের পথরোধ করে তাকে মারপিট করে। মারপিটের খরব পেয়ে মলাই মিয়ার আত্মীয়-স্বজনরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সালমানকে উদ্ধার করে বাড়ী নিয়ে আসে। একপর্যায়ে কামাল মিয়া বাড়ী গিয়ে এঘটনা জানালে আলী হোসেন কমান্ডারের নেতৃত্বে তার আত্মীয় স্বজনরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মলাই মিয়ার বাড়ির সামনে এসে প্রতিপক্ষ মলাই মিয়ার লোকজনের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। উভয় পক্ষের লোকজনের মধ্যে ঘন্টাব্যপী সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে পুলিশের বিশাল একটি টিম ঘটনাস্থলে এসে লাটিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
সংঘর্ষের মলাই মিয়ার পক্ষের জামাল মিয়া (৫৫), জহির মিয়া (৩৫), কবির হোসেন (২৬), মোশারফ মিয়া (৩৫), জসিম উদ্দিন (৩৫), ফরিদ মিয়া (৩৮), নাছির মিয়া (৩৫), আবুবক্কর (৪২), আলাল মিয়া (২৮), দুলাল মিয়া (৪০) এবং আলী হোসেন কমান্ডার পক্ষে আলী হোসেন কমান্ডার (৫৫) তার ছেলে কামাল মিয়া (৩৫), মাজেদা বেগম (১৬), অহিনুর (২৫),আক্কাছ আলী (৩৫), আইনুল মিয়া (৩২)সহ ৫/৬জন আহত হয়।
তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ আতিকুর রহমান সংঘর্ষের ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, এঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।