অনলাইনে ক্লাস নেবে শাবির লোকপ্রশাসন বিভাগ

9

শাবি থেকে সংবাদদাতা :
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে স্থবির হয়ে পড়েছে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা। এতে শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রম নিয়ে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীদের সমস্যা বিবেচনায় নিয়ে চলমান অনলাইন ক্লাস ও একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) লোকপ্রশাসন বিভাগ।
মঙ্গলবার (১২ মে) বিকেলে শাবিপ্রবির লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের বর্তমান সেমিস্টার সম্পন্ন করতে ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের মতামতের ভিত্তিতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক চলমান অনলাইন ক্লাস ও একাডেমিক কার্যক্রম সচল রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। শিক্ষকরা অনলাইন ক্লাসের পাশাপাশি বিভিন্ন কোর্স ম্যাটেরিয়্যালস দিয়ে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কোর্স/সেমিস্টার সম্পন্ন করতে একমত পোষণ করেছেন।
তবে বিভাগের কোনো শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করতে বা একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রী উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করার আহবান জানানো হচ্ছে।
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে চলমান অনলাইন ক্লাস ও একাডেমিক কার্যক্রমে চালাতে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীনের কথা উল্লেখ করে অনলাইন ক্লাস বর্জন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। লোকপ্রশাসন বিভাগের কয়েকটি ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও এ ক্লাস বর্জন করেন।
এবিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শফিকুল বলেন, কিছু শিক্ষার্থী অলনাইন ক্লাস বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে বিভাগে যেসব শিক্ষার্থী অনলাইনে ক্লাস করতে এবং একাডেমিক কার্যক্রম অংশ নিতে সমস্যার সম্মুখীন হবে সেসব শিক্ষার্থীরা বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রী উপদেষ্টার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। পরে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। অন্যথায়, যারা ক্লাসে উপস্থিত থাকবে তাদের সেমিস্টার চলমান থাকবে বাকিদের সেমিস্টার ড্রপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকবে। তবে যারা অনলাইনে ক্লাস করতে আগ্রহী থাকা সত্ত্বেও উপস্থিত থাকতে পারবে না তাদের তালিকা তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অনলাইনে চলমান একাডেমিক কার্যক্রমে পরীক্ষা পদ্ধতির ব্যাপারে লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান শফিকুল আরও বলেন, আপাতত আমরা চলমান পদ্ধতিতে ক্লাস ও একাডেমিক কার্যক্রম চালিয়ে নিতে চাই। পরে পরীক্ষার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নেবে সে পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে।