টিলাগড়ে পাঠাকান্ডের ঘটনায় মামালা, আটক ১

5

স্টাফ রিপোর্টার :
পাঠাকান্ডের ঘটনায় আবারো বিতর্কে জড়ালেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও মহানগর আওয়ামীলীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এডভোকেট রনজিৎ সরকার গতকাল সোমবার টিলাগড়ে প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের অফিসে গিয়ে ফ্রি ‘পাঠা’ না পাওয়ায় জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কাজী আশরাফের উপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। আহতাবস্থায় ওই কর্মকর্তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে পরে বাসায় যান।
সোমবার দিবাগত রাতে সিলেট বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. আমিনুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহপরান থানায় এ মামলা (নং- ৪/২০২০) দায়ের করেন। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক রনজিৎ সরকারকে।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন ছাত্রলীগ নেতা কনক পাল অরূপ, রাহুল চৌধুরী, অপু তালুকদার, মিঠু তালুকদার, আকাশ, সাহেদ, সৌরভ দাস, রুহেল ও শামীম আলী। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরও ৮-১০জনকে আসামী করা হয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে ছাত্রলীগ নেতা কনক পাল অরূপকে গ্রেফতার করেছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, সোমবার দুপুরে নগরের টিলাগড়ে সিলেট বিভাগীয় ছাগল গবেষণা খামারে কয়েকজন যুবককে পাঠান সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিৎ সরকার। যুবকরা খামারে প্রজননের জন্য রাখা একটি পাঠা (ছাগল) ফ্রি দেওয়ার জন্য বিভাগীয় প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ড. আমিনুল ইসলামের কাছে আবদার জানায়। ড. আমিনুল পাঠা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তারা গালিগালাজ করে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর দলবল নিয়ে রনজিৎ সরকার সেখানে গিয়ে কর্মকর্তাদের ওপর চড়াও হন। এসময় তিনি অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা কাজী আশরাফের উপর হামলা চালান। অফিসের অন্যান্য কর্মকর্তাদেরও লাঞ্ছিত করেন তারা।
মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। তিনি বলেন, মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ সহ আরও অজ্ঞাত ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কনক পাল অরূপ নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।