কাজিরবাজার ডেস্ক :
বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আসা পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যেন করোনা সংক্রমণ না হয়, সেজন্য তাদের সুরক্ষায় বিভিন্ন সংস্থার পাশাপাশি কাজ শুরু করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা। করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিজিবির এমন পদক্ষেপ নজর কেড়েছে এলাকাবাসীর।
শুক্রবার (৮ মে) দুপুরে বেনাপোল চেকপোস্টে করোনা প্রতিরোধে বিজিবির সতর্কতামূলক নানা কার্যক্রম চোখে পড়ে। সংস্থাটির সদস্যরা নোম্যান্স ল্যান্ডে (শূন্য রেখা) ভারত ফেরত যাত্রীদের জীবানুনাশক বক্সে প্রবেশ করিয়ে পার ও তাদের সচেতন করছেন।
এলাকাবাসী বলছেন, এ পথে পাসপোর্টধারী যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। তাই করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এখনো রয়েছে। এক্ষেত্রে সীমান্তে করোনা প্রতিরোধ কার্যক্রমে বিজিবির অংশগ্রহণ প্রশংসার দাবিদার।
যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রচুর সংখ্যক পাসপোর্টধারী যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেন। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও দেশের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর এটি। দিন দিন ভারত-বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বন্দরে ভারত ফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষায় থাকা ছয় চিকিৎসকও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তারপরও ভারত থেকে প্রতিদিন ফিরছেন যাত্রীরা। এতে এ ঝুঁকি দিন দিন আরো বেড়ে চলেছে। ফলে এলাকাবাসীও আতঙ্কিত।
স্থানীয় এলাকাবাসী মাহাবুবুর রহমান বাবু বলেন, ‘এখনো ভারত থেকে ফিরছেন যাত্রীরা। এতে আমরা আতঙ্কে আছি। ঠিক এ সময় চেকপোস্টে করোনা প্রতিরোধে অনান্য সংস্থার পাশাপাশি নিরাপত্তায় কাজ করছেন বিজিবি সদস্যরাও। এটা দেখে খুব ভালো লাগলো।’
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ সভাপতি আমিনুল হক বলেন, ‘শূন্য রেখায় বিজিবির কার্যক্রম করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সবচেয়ে বড় ভুমিকা রাখবে। আমরা ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বিজিবিকে সাধুবাদ জানাচ্ছি।’
৪৯ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, প্রতিদিনই ভারত থেকে ফিরছেন পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। যেন কোনোভাবে এ পথে ভাইরাস প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি জীবানুনাশক স্প্রে ও তাদের সচেতন করছে। দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্রম অব্যহত থাকবে বলেও জানান তিনি।