আজ থেকে মসজিদে জামাতে শরীক হতে পারবেন সর্বস্তরের মুসল্লি

28

কাজিরবাজার ডেস্ক :
দেশে দিন দিন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। এরমধ্যেই সীমিত পরিসরে দোকান-পাট ও মার্কেট খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। এবার ১২টি শর্তে মুসল্লিদের মসজিদে গিয়ে জামাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়া হলো।
সীমিত পরিসরে মসজিদগুলোতে নামাজ আদায়ের ঘোষণার একমাসের মাথায় তা শিথিল করা হলো। বৃহস্পতিবার যোহর থেকে মুসল্লিরা মসজিদে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
বুধবার ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় শাখার উপসচিব সাখাওয়াৎ হোসেন সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে সারাদেশে বন্ধ ঘোষণা ও জনসমাগমে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এজন্য ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ৬ এপ্রিল এবং ২৩ এপ্রিল বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে মসজিদগুলোতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুম্মা ও পবিত্র রমজানের তারাবিহ নামাজ সীমিত পরিসরে আদায় করার নির্দেশনা দেয়। দেশের আলেম ওলামারা রমজান মাসের গুরুত্ব বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী বরাবর মসজিদে শর্ত সাপেক্ষে নামাজ আদায়ের জোর দাবি জানায়। সরকার সার্বিক বিবেচনায় কিছু কিছু ক্ষেত্রে বন্ধ ঘোষণার নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। তবে, অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলির মধ্যে রয়েছে
১. মসজিদের কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুণাশক দিয়ে পরিস্কার করতে হবে। মুসল্লিরা প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।
২. মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিকে অবশ্যই মাস্ক পরে আসতে হবে।
৩. প্রত্যেককে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে আসতে হবে এবং সুন্নত নামাজ বাসা থেকে পড়ে আসতে হবে। ওযুর সময় অবশ্যই ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।
৪. কাতারে নামাজের সময় সামাজিক দূরত্ব অর্থাৎ তিনফুট পর পর দাঁড়াতে হবে।
৫.এক কাতার অন্তর অন্তর কাতার করতে হবে।
৬. শিশু, বয়ষ্ক, যে কোন অসুস্থ ব্যক্তি এবং অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহন করতে পারবে না।
৭. সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত টুপি ও জায়নামাজ ব্যবহার করা যাবে না।
৮.সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিত করে, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।
৯.মসজিদের ইফতার, সেহরির ব্যবস্থা করা যাবে না।
১০. উল্লেখিত শর্ত মেনে প্রত্যেক মসজিদে সর্বোচ্চ পাঁচজন নিরাপদ দূরুত্বে থেকে ইতেকাফ-এর জন্য অবস্থান করবেন।
১১. করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে দোয়া করার জন্য খতিব ও ইমামদের অনুরোধ করা হলো।
১২. খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলো বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবে।
এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে।