কাজিরবাজার ডেস্ক :
‘লকডাউন’ পরিস্থিতি শেষেই পরীক্ষা আয়োজন করতে চায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এ জন্য রোববার এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে নিজ নিজ ঘরে বসে পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।
একই সঙ্গে দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার পর একের পর এক পরীক্ষা দেয়ার সব প্রস্তুতি নিতে কলেজ ও শিক্ষার্থীদের বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও পরামর্শ দফতর পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. ফয়জুল করিম স্বাক্ষরিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নভেল করোনাভাইরাসের কারণে দেশের সব ধরণের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতাধীন সব কলেজকে অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিতে আহ্বান জানিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
গত ৩০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠক উদ্বৃত করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই সভার সিদ্ধান্তের আলোকে লকডাউন চলাকালীন শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নিতে অধিভুক্ত ২২৬০টি কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে বেশ কিছু নির্দেশনা প্রদান করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।
নির্দেশনাগুলো হচ্ছে- করোনা ছড়িয়ে পড়ার পূর্ব পর্যন্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত কলেজসমূহে কোনো সেশনজট ছিল না। সেই ধারাবাহিকতা বহাল রাখতে লকডাউন শেষে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের নিমিত্তে প্রতিটি শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ ঘরে বসে পরীক্ষার যাবতীয় প্রস্তুতি নিতে বলা হচ্ছে। এই দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার পর আমরা যেন একের পর এক পরীক্ষা নিতে পারি তার সব প্রস্তুতি কলেজ ও শিক্ষার্থীদের থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে সেশনজট নিরসনে আগে যেমন আমরা ক্রাশ প্রোগ্রাম করে সফল হয়েছি। সেই রকম মেথড এখানেও এপ্লাই করতে হবে। শিক্ষার্থীদের মনে রাখা উচিত কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সিংহভাগ কারিকুলাম শিক্ষার্থীকে তার নিজ উদ্যোগে সম্পন্ন করতে হয়। এই মহামারী চলাকালীন শিক্ষার্থীদের ধৈয্য ও দ্বায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে এবং নিজ নিজ বাড়িতে বসে তার কারিকুলাম অনুযায়ী পাঠগ্রহণ করে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে হবে।
ভিসির নির্দেশনায় আরও বলা হয়, যেসব কলেজের অনলাইনে ক্লাস নেয়ার সক্ষমতা রয়েছে তারা জরুরি ভিত্তিতে অনলাইন ক্লাস চালু করবে। যেসব কলেজ/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অনলাইন ক্লাস সুবিধা নেই, তাদেরকেও দ্রুত এই সুবিধার আওতায় আসতে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করা মোবাইল অ্যাপস কিংবা জুম সফটওয়্যার ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইন ক্লাসে যুক্ত হওয়ার জন্য বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে রাজশাহী কলেজসহ বেশ কয়েকটি কলেজ/প্রফেশনাল প্রতিষ্ঠান অনলাইন ক্লাস শুরু করে দিয়েছে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললেও অনলাইন কার্যক্রম চালু রাখতে হবে। ছুটি দীর্ঘায়িত হলে নতুন করে সেশনজটে না পড়তে পরীক্ষা ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের প্রস্তুতি নেয়ার জন্যে শিক্ষকদের কাজ করে যেতে হবে বলেও নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনলাইনে এক জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।