মৌলভীবাজার থেকে সংবাদদাতা :
মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলাধীন ইসলামপুর বাজার থেকে সাত বস্তা সরকারি চালসহ আটক হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও তার পুত্র। বুধবার রাত সাড়ে বারোটায় ( ৩০ এপ্রিল) শ্রীমঙ্গল র্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম’র নেতৃত্বে র্যাবের একটি চৌকস দল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়।
জানা যায়, কমলগঞ্জ উপজেলাধীন কানাইদেশী গ্রামের মৃত নাজির মিয়ার পুত্র আবু আব্দুল্লাহ ইসলামপুর বাজারে সরকারি ‘খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী’র ডিলার হিসেবে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। এছাড়া তিনি ইসলামপুর ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতিও। আব্দুল্লাহ ও তার পুত্র আজিজুর রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় পরিচয়ের অপব্যবহার করে সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রি ও কার্ডধারীদের প্রাপ্য চাল আত্মসাতের অভিযোগ বেশ পুরনো। এর পূর্বেও স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে পিতাপুত্রের চাল আত্মসাৎ বিষয়ক প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
র্যাব সূত্র জানায়, ডিলার হিসেবে নিয়োজিত থাকার সুযোগে আটককৃত গরিবের প্রাপ্য চাল যথাযথভাবে বণ্টন না করে কালোবাজারে বিক্রি করে দিতেন। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তির টিপসহি নিজেরা জাল করে তাদের প্রাপ্য চাল আত্মসাৎ করতেন তারা।
আটক পিতাপুত্রের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ ধারা এবং দণ্ডবিধির ৪৬৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে মর্মেও নিশ্চিত করেছে র্যাব সূত্র।
অভিযানে নেতৃত্বদানকারী এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম এ প্রসঙ্গে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা এই অভিযান পরিচালনা করি। অভিযানকালে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৭ বস্তা চালসহ দুইজন আসামিকে আটক করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের রাজনৈতিক পরিচয় সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে এএসপি আনোয়ার বলেন, আমাদের কাছে রাজনৈতিক পরিচয় মুখ্য নয়। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী র্যাব মহাপরিচালক স্যারের নেতৃত্বে আমরা অতীতের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ভবিষ্যতেও এই ধরনের অভিযান অব্যাহত রাখবো। গরীবের হক যারাই আত্মসাতের চেষ্টা করবে, তিনি যে-ই হোন, তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
আটককৃতদের পরবর্তী আইনগত কার্যক্রমের জন্য কমলগঞ্জ থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে বলে র্যাব কর্মকর্তা জানান।
উল্লেখ্য, গভীর রাতে অভিযান শেষ হবার সময়ও কয়েক শ স্থানীয় জনতা উপস্থিত থেকে ‘চাল চোর’ পিতাপুত্রকে আটক কররার জন্য র্যাবকে ধন্যবাদ জানান।