কাজিরবাজার ডেস্ক :
করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে সরকারী চাকরিতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নির্ধারিত বয়স পেরিয়ে গেলেও ক্ষতিগ্রস্তদের বয়স শিথিলের বিষয়টি বিবেচনায় নেয়ার চিন্তাভবনা করছে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, এক্ষেত্রে করোনার ছুটিকালীন কোন নিয়োগ পরীক্ষা কিংবা বিজ্ঞপ্তি জারির কথা ছিল কি-না, সেই তথ্য এবং এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রার্থীদের বিবেচনায় নিয়ে বয়স শিথিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রধানমন্ত্রী তা অনুমোদন দিলেই ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বয়স শিথিলের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা।
বর্তমানে সরকারী চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩০ বছর, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের ক্ষেত্রে ৩২ বছর। প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর চাকরিতে সরকারী কর্মকমিশনের (পিএসসি) মাধ্যমে নিয়োগ দেয়া হয়। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদগুলোতে নিয়োগের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সরকারী দফতরের।
করোনা সংক্রমণ রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে সারাদেশে সাধারণ ছুটি চলছে। এই ছুটি চলবে আগামী ৪ মে পর্যন্ত। করোনা পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি না হলে এই ছুটি আরও বাড়ানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা পরিস্থিতিতে যাদের চাকরির বয়স পেরিয়ে যাচ্ছে তাদের বিষয়ে সরকার কী ভাবছে এমন প্রশ্নের জবাবে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে আমরা এখনও সেভাবে ভাবছি না। তবে এ বিষয়টি আমাদের সামনে এসেছে।
তিনি বলেন, যদি করোনার ছুটির সময়ে কোন পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকে, কোন বিজ্ঞপ্তি জারির কথা থাকে, এজন্য যদি কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং তাদের বিষয়টি বিবেচনার জন্য যদি আইনগত কোন বাধ্যবাধকতা থাকে, তবে সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিবেচনা করতে পারেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রথমে আমরা দেখে নিই যে, কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কি-না। কারও চাকরির বয়স এই সময়ে চলে যাওয়ার কারণে ক্ষতি হচ্ছে কি-না। যদি হয়ে থাকে তবে আমরা সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ করব। তিনি যদি অনুমতি দেন, তবে এটি হবে (বয়স শিথিলের বিষয়টি)।