করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমান সংকটময় সময় কাটাচ্ছেন অসহায়, গরীব মানুষেরা। সংক্রমণ ঠেকাতে লকডাউন করে রাখা হয়েছে সুনামগঞ্জ জেলাকে। কাজকর্ম, আয় রোজগার না থাকায় খেটেখাওয়া মানুষেরা তাই অনিশ্চিত জীবনযাপন করছেন। এই দুর্দিনে এসব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ছাতক উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চৌধুরী। তার মতে, ‘ ক্ষুধার জ্বালা মানে না লকডাউন। তাই এই লকডাউনে বিপদে পড়া মানুষদের সহযোগিতা করাটা নৈতিক দায়িত্ব মনে করছি।’
জানা গেছে, গত ১০ দিন ধরে সুনামগঞ্জের ছাতক, দোয়ারা ও গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় খাদ্যসংকটে থাকা বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ঘরে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছেন মিজানুর রহমান চৌধুরী। নিজের অর্থেই খাদ্য সামগ্রী কিনে মানুষের মধ্যে বিতরণ করছেন তিনি। মিজান চৌধুরী ধারাবাহিকভাবে এসব এলাকার গরীব, অসহায়, প্রতিবন্ধী, রিক্সাশ্রমিক, পরিবহন শ্রমিক, গৃহহীন মানুষ, মৎস্যজীবী, কর্মকার, চর্মকার, সেলুনকর্মীদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছেন। রবিবার তিনি পরিচ্ছন্নতা কর্মী, হকার ও ছিন্নমূল অসহায়দের মধ্যে বিতরণ করেন খাদ্যসামগ্রী।
খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে তিনি বলেন, ‘গরীব, অসহায় মানুষগুলো সরকারি ত্রাণ পাচ্ছে না, খাদ্যসামগ্রী পাচ্ছে না। খাদ্য সংকটে থাকা লোকগুলোর জন্য লকডাউন করোনার চাইতেও ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষুধার যে জ্বালা, সেটা লকডাউন মানে না। কিন্তু কাজের সন্ধানে অসহায় মানুষগুলো বাইরেও যেতে পারছে না। এই কঠিন মুহূর্তে তাদের পাশে নিজের সাধ্যমতো দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি।’
তিনি সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ‘মানুষের ঘরে খাবার না দিয়ে লকডাউন করার যৌক্তিকতা নেই। কর্মহীন, অসহায়, গরীব মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্যদ্রব্য পৌঁছে দিন। যাতে মানুষ পেটের ক্ষুধায় বাইরে না বেরোয়।’
এদিকে, মিজান চৌধুরীর এই উদ্যোগ সুনামগঞ্জে ব্যাপক প্রশংসিত হচ্ছে। সাধারণ মানুষ, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতাকর্মী সবাই সাধুবাদ জানাচ্ছেন তাকে। সমাজের কল্যাণে মিজানুর রহমান চৌধুরীর মতো নেতারা এগিয়ে এলে কোনো সংকটই দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে মন্তব্য করছেন সবাই।